স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরায় ২০২৪ সালের জুলাই—আগষ্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের স্বরণে স্বরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গতকাল বেলা সাড়ে ১১ টায় জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সেনাবাহিনী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোঃ ইমতিয়াজ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এড সৈয়দ ইফতেখার আলী, জেলা জামায়াত ইসলামের আমীর মোঃ শহিদুল ইসলাম মুকুল, সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল হাশেম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু, ছাত্র প্রতিনিধি ইমরান হোসেন, নাজমুল হাসান, আরাফাত হোসেন, সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সামাজিক বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ বিল্লাহ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী, টিটিসির অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান,পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা: প্রবীর মুখার্জী, সদর থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা পুলক কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, এদেশে জন্য যারা জীবন দিয়েছে তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। রক্তের ঋণ পরিশোধ করার চেষ্টা করবো। জুলাই —আগস্টে যারা শহীদ হয়েছে তাদের কে আর কখনো ফেরত পাবো না। আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের কর্মসংস্হানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। আহতদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার ব্যবস্হা করতে হবে। একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে হলে সকলের সহযোগিতা দরকার। জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, আজকের এই স্মরণ সভা রাষ্টে্রর পক্ষ থেকে করা হয়েছে। ক্ষুধা, দুর্নীতি ও দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়তে হলে সকলের সহযোগিতা দরকার। আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একটা সুন্দর সাতক্ষীরা গড়ার। কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কোন কারণ ছাড়া যদি অনুপস্থিত থাকলে তার এমপিও বাতিল হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ছাত্র প্রতিনিধি, শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা।সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল।