স্টাফ রিপোর্টার \ সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেছেন আশাশুনি আগরদাঁড়ি আসামী মোঃ রেজোয়ান কবির জনি (২২) ও ভিকটিম নুসরাত জাহান (৯) এর বাড়ী পাশাপাশি। আসামী ঢাকায় কোম্পানীতে চাকুরী করতো। বিগত ৪/৫ মাস আগে আসামীর চাকুরী চলে গেলে সে বাড়িতে চলে আসে। চাকুরী না থাকার কারণে সে অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছিল এবং নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেস বিফ্রিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, আসামীর নূসরাতের কানের স্বর্ণের রিং এর কথা মনে পড়ে। গত ১৪ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় নূসরাত তার বান্ধবী মিতা বসু (৮) এর বাড়ীর সামনে খেলা করছিল। কৌশলে তাকে নিয়ে মাওলানা মোঃ সোলাইমান আজিজীর পুকুরের পাশে হলুদ তুলতে যায়। একপর্যায়ে ভিকটিমের কানে থাকা স্বর্ণের রিং জোরপূর্বক খুলে নেয় এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। লাশ কেউ খুজে না পায় তার জন্য ভিকটিমের গায়ে থাকা গেঞ্জি ছিড়ে হাত এবং পা বেধে হলুদ ক্ষেতের পাশে পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয়।পরে বুধহাটা বাজারে পলাশ জুয়েলার্সের দোকানে অজয় পাইনের কাছে ঐ গহনা ৯,০০০/টাকায় বিক্রি করে। সে জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিমকে হত্যার কথা স্বীকার করে। আসামীর দেওয়া তথ্য মতে ঐ দোকানে থেকে রিং উদ্ধার করা হয়েছে। উল্লেখ্য ঐদিন দুপুরে পুলিশ নুসরাতের লাশ উদ্ধার করে। প্রেস বিফ্রিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিঃ পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ সজিব খান, অতিঃ পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ আমিনুর রহমান, অতিঃ পুলিশ সুপার কালিগঞ্জ সার্কেল মোঃ আমিনুর রহমান, অতিঃ সিনিয়র পুলিশ সুপার তালা সার্কেল মোঃ হাসানূর রহমান, ডিআইও—১ মোঃ হাফিজুর রহমান,আশাশুনি থানার ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল ইসলাম।