বাংলাদেশ বরাবরই কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের আবহাওয়া জলবায়ূ ভূ-প্রকৃতি সহ সব ধরনের ব্যবস্থাপনা কৃষি সহায়ক। আবহমানকাল যাবৎ এদেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর যেমন নির্ভরশীল অনুুরুপ ভাবে কৃষি উৎপাদনের সাথে জড়িত। আমাদের দেশের কৃষকরা বৃষ্টিতে ভিজে, রৌদ্রেপুড়ে সোনার ফসল উৎপাদন করে কেবল নিজের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে তা নয়, আমাদের কৃষকদের উৎপাদিত খাদ্যশষ্য সহ সবজি গ্রহন করে চলেছে এবং জীবনধারন করছে। সুখের বিষয় বাংলাদেশ বর্তমান সময়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে যে কারনে আমরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্ব বাজার হতে খাদ্য শষ্য আমদানীর উপর নির্ভরশীল নই। সদ্য শেষ হওয়া ইরি বরো মওসুমে দেশে ব্যাপক খাদ্য শষ্য উৎপাদিত আমাদের কৃষিকে কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্থ করছে তারপর ও কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম কঠিন কঠোর পরিচর্যার মাধ্যমে কৃষিকে সমুন্নত রাখতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক বাস্তবতা ও পরিস্থিতি বিশ্লেষন করলে আমাদের কৃষি ব্যবস্থা অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা উন্নত, আধুনিক ও গতিশীল আর এ কারনে কৃষকরা অধিকতর সাফল্য পাচ্ছে এবং কৃষি পেশায় ঝুকছে। সাম্প্রতিক সময় গুলোতে বীজ সার সহ শ্রমিক মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আশাতীত পরিমান লাভ করতে পারছে না কৃষকরা তবে সরকারি ভাবে বীজ সার সহ অপরাপর কৃষি উপকরন সরবরাহ করায় তা কৃষককুলকে বিশেষ সুবিধা সুযোগ সৃষ্টি করছে। দেশের কৃষকরা সনাতন পদ্ধতির বেড়াজালে আবদ্ধ না থেকে আধুনিক দেশের কৃষকরা সনাতন পদ্ধতির বেড়াজালে আবদ্ধ না থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদিত খাদ্য শস্য সহ পণ্য বাজারজাত করনের ক্ষেত্রে আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করছে এখানেই শেষ নয় তথ্যপ্রযুক্তির অবাধক্ষেত্র বির্নিমান করে চলেছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় খাদ্য শষ্য সহ অপরাপর কৃষি পণ্য উৎপাদন আশাবঞ্জক। সাতক্ষীরার কৃষি জমিতে সবুজের সমারোহ এবং কৃষকের আশা আকাঙ্খাকে দৃশ্যতঃ একসুতায় আবদ্ধ করে চলেছে।