স্টাফ রিপোর্টার ঃ মহামারী করোনার ধকল কাটিয়ে এবার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো আজ খুলছে। বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে প্রানের স্পন্দন আর প্রানের বহতা বইবে, সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য বিধি মেনে শুরু হবে প্রাথমিকের ক্লাস, প্রাক প্রাথমিক ব্যতিত সব শ্রেণির ক্লাস হবে বলে গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রথম দফায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর নিকট অতিতে দেড়মাস বন্ধ থাকায় খুলছে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রথম শ্রেনি হতে পঞ্চম শ্রেনি পর্যন্ত ক্লাস হবে ছয়দিন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে প্রাক প্রাথমিকের ক্লাস আপাতত বন্ধ থাকছে অন্ততঃ আরও দুই সপ্তাহ করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন পরবর্তি প্রাক প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আনা হবে। দীর্ঘ বিরতির পর বিদ্যালয় গুলোতে পড়ালেখা দুই পালায় হবে অর্থাৎ দুই সিফটে চলবে বিদ্যালয় গুলো। বিশেষ প্রয়োজন ব্যতিত অভিভাবকদেরকে বিদ্যালয়ে আসার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হবে। এবং কোন সমাবেশ হবেনা। টিকা গ্রহন ব্যতিত কোন শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসতে পারবে না। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় বিদ্যালয় খোলার বিষয়টি শিক্ষার্থী অভিভাকদের জানানোর জন্য গ্রামে গ্রামে মাইকিং করতে দেখা গেছে। বিদ্যালয় খোলার এবং জানার ক্ষেত্রে মাইকিং বিশেষ ভাবে অবহিত হয়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। মাইকিং এ বলা হয়েছে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ক্লাস হবে। শিক্ষার্থীদেরকে মাস্ক না থাকলে বিদ্যালয় হতে শিক্ষার্থীদেরকে সরবরাহ করা হবে। সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমীন জানান এই মুহুর্তে আমাদের প্রধান লক্ষ স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করা এবং প্রতিটি বিদ্যালয়ে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে শিখন ঘাটতি পুরনের ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষকরা আন্তরিকতার সাথে পাঠ দান করবেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয় খোলার প্রথম দিনে প্রতিজন শিক্ষার্থীকে আনন্দঘন পরিবেশে শ্রেনি কার্যক্রমে স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষক শিক্ষার্থী, অভিভাবক সহ অন্য কেউ প্রবেশ/অবস্থান/প্রস্তানের সময় সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্য বিধি যথাযথ ভাবে প্রতিপালন করা হবে। ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের সাথে সভা করে বিদ্যালয়ের সামগ্রীক পরিবেশ, স্বাস্থ্য বিধি সহ পাঠদান পরিস্থিতি সহ সামগ্রীক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। সাতক্ষীরার বিদ্যালয় গুলোতে কোমলমতি শিক্ষার্থীর পদভারে উজ্জীবিত হবে, মুক্ত বাতাসে হৈ হুলোর মিশে পড়ালেখা এগিয়ে যাবে আমাদের শিক্ষার্থীরা এমনই জানালেন জেলার প্রাথমিক শিক্ষার বাতিঘর খ্যাত মোঃ রুহুল আমীন।