স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরার জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির কার্য নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে তুফান কনভেনশন সেন্টার লেকভিউতে জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির আয়োজনে কমিটির সভাপতি ও দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নূর ইসলামের সভাপতিত্বে জেলার উন্নয়নে ২৩ দফা দাবী তুলে ধরা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ডা: আবুলcx কালাম বাবলা, সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, আব্দুর রব ওয়ার্ছি, তৈয়েব হাসান বাবু, কাজী শওকত হোসেন ময়না, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন, ফরিদা আক্তার বিউটি, সহ-সাধারন সম্পাদক সামছুদ্দীন গজনবী বাবলু, নাসিমা খাতুন, শেখ সোহরাব হোসেন বাবু, আশরাফুল করিম ধনি, আমিনুল হক খোকন, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, গাজী আবুল কাসেম, নুরুল হক, আশরাফ উদ্দীন, আব্দুল গফফার, শফিউদ্দীন, হাফিজুর রহমান, শেখ শফিউদ্দৌলা সাগর, মো: জামাত, মো: মোস্তাফিজুর রহমান, শেখ আব্দস সাদেক, সিরাজুল হক, ময়নুর রশিদ, হাফিজুর হোসেন, মীর তাজুল ইসলাম রিপন প্রমুখ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী নাভারন থেকে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত রেল লাইন দ্রুত কার্যক্রম শুরু করতে হবে, জলাবদ্ধতা নিরসন কল্পে সাতক্ষীরা জেলার সকল নদ-নদী ও খালগুলি পুনঃ খননের ব্যবস্থা করা, যশোর, নাভারণ থেকে মুন্সিগঞ্জ এবং ভোমরা থেকে খুলনা পর্যন্ত ৪ লেন রাস্তা উন্নীত করা, সাতক্ষীরা রেঞ্জে সুন্দরবনকে পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থান চিহিৃত করা এবং পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য মোটেল নির্মাণ করা, সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসাবে ঘোষনা করা, সাতক্ষীরায় একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামসহ প্রতিটি উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণ করা, সাতক্ষীরায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি কৃষি কলেজ স্থাপন করা, খুলনা থেকে চুকনগর ভায়া সাতক্ষীরা ভোমরা স্থল বন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা, সাতক্ষীরা জেলাকে ‘এ’ গ্রেডের নিমিত্তে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটাকে উপজেলা হিসাবে ঘোষনা করা, সাতক্ষীরা জেলায় অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করা, সাতক্ষীরা জেলার দৃশ্যমান পয়েন্টে ভাস্কর্য এবং সৌন্দর্যবর্ধন করা, বিনেরপোতা থেকে আশাশুনি সড়ক রামচন্দ্রপুর ও দহকুলা হয়ে বাকাল চেকপোষ্ট পর্যন্ত সংযোগ সড়ক স্থাপন করা, ভোমরা পোর্টের জিরো পয়েন্টে গেট নির্মান ও সৌন্দর্যবর্ধন করা, সাতক্ষীরা পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশন ঘোষনা করা, প্রাণসায়ের খাল খনন সহ দুই পার্শ্বে সৌন্দর্যবর্ধন এবং পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা, সাতক্ষীরা জেলার সকল হাসপাতাল এবং কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালকে বাইপাস রাস্তার পার্শ্বে স্থানান্তর করা, বিসিক শিল্প নগরীকে সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা, শিশুদের বিনোদনের জন্য সাতক্ষীরা প্রতিটি উপজেলায় একটি করে শিশু পার্ক স্থাপন করা, সাতক্ষীরায় প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবস্থা করা, সাতক্ষীরায় একটি এয়ারপোর্ট নির্মানের ব্যবস্থা করা, সুন্দরবন টেক্সটাইল মিল পুনঃ চালু ব্যবস্থা করা, বসন্তপুর নৌবন্দর চালুর ব্যবস্থা করা। বক্তারা বলেন, নাগরিক কমিটি দীর্ঘদিন জেলার উন্নয়নে বিভিন্ন দাবী দাওয়া বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। নতুন সরকার গঠন হওযায় নাগরিক কমিটির উন্নয়ন কর্মকান্ড আরোও ত্বরান্বিত হবে। সভায় তিনটি উপ কমিটি গঠন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কমিটির সাধারন সম্পাদক মো: মশিউর রহমান বাবু।