দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ সাতক্ষীরার তিন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এবার জাতীয় ক্রীড়া পুরুস্কার অর্জনের মাধ্যমে জাতীয় ভাবে সাতক্ষীরাকে আলোকিত করলেন। দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে অসাধারন অবদানের জন্য গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া সাবেক ফিফা রেফারী সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান মো: তৈয়েব হাসান বাবু, সাতক্ষীরার অপর কৃতি সন্তান বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ জিমনাস্টিক এর সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন, অপর কৃতি সন্তান বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশন সাবেক কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ভলিবল খেলোয়াড়, জাতীয় ক্রীড়াপরিষদের সাবেক কর্মকর্তা আশাশুনীর দর্গাপুরের শামীম আল মামুন, জেলার তিন কৃতি সন্তান গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি স্বরুপ সম্মাননা গ্রহন করেন। ২০১৮ সালে এই তিন কৃতি সন্তান জাতীয় ক্রীড়া পুরুস্কারে ভষিত হন। গতকাল দেশবাসি ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করলেন সাতক্ষীরার আরেক গৌরবজনক অর্জন কে তিন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের পুরুস্কার প্রাপ্তি নিজস্ব যোগ্যতার প্রতিফলন হলেও দৃশ্যতঃ তা জেলার বিশলক্ষাধীক মানুষের অর্জন এবং গৌরব গাঁথার হৃদয়ঙ্গম। সুন্দরবন বেষ্টিত সাতক্ষীরা বারবার ক্রীড়া ক্ষেত্রে তার সক্ষমতা পরিদর্শন করে চলেছে। তবে এবারের সক্ষমতা ভিন্ন প্রকৃতির ভিন্ন আঙ্গিকের। শ্রেষ্ঠ খেলোয়ারের স্বীকৃতির মাঝেই সাতক্ষীরা সীমাবদ্ধ থাকলেও ২০১৮ সালের পুরুস্কার গতকাল প্রধানমন্ত্রীর হাত হতে গ্রহন করা বিষয়টি দেশের পুরো ক্রীড়া ব্যবস্থা কেন্দ্রীক, ক্রীড়াকে এগিয়ে নেওয়া, দেশ বিদেশে দেশের ক্রীড়াকে সম্মানজনক পর্যায়ে পৌছে দেওয়ার অনন্য অসাধারন ফলাফলের স্বীকৃতি এই পুরুস্কার। বিশ্বকাপ ফুটবলে বাংলাদেশ অংশ না নিলেও উক্ত বিশ্বকাপ ফুটবল বাংলাদেশ পরিচালনা করেছে। বিশ্বকাপ ফুটবল খেলায় সাতক্ষীরা অবস্থান নিয়েছে। বিশ্বের শত শত কোটি ক্রীড়ামোদীরা প্রত্যক্ষ করেন বাংলাদেশের সোনার ছেলে মো: তৈয়েব হাসান বাবুর খেলা পরিচালনা, কেবল বাঁশি বাজানো নয়, অত্যন্ত দক্ষতা, নৈপুন্যতা, নিরপেক্ষতার সাথে খেলা পরিচালনা করে বাংলাদেশকে বিশ্ববাসির মাঝে বিশেষ সম্মানের আসরে বসিয়েছে। অলিম্পিক অতি প্রাচীন আসর বিশ্ব দরবারে অর্থাৎ অলিম্পিক গেমস এ বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিনিধিত্বকারী শেখ বসির আহমেদ, দেশের খেলোয়াড় তৈরীর প্রতিষ্ঠান বিকেএসপির প্রাণ পুরুষ হিসেবে দেশের খেলাধুলাকে অতি উচ্চতায় নিয়েছেন শামীম আল মামুন, দক্ষত, যোগ্যতা কখনও বিফলে যায় না, যোগ্যতার স্বীকৃতি দিতেও ভুল করে না কর্তৃপক্ষ। আর তাই বাংলাদেশ সরকার ক্রীড়া ক্ষেত্রে অসাধারন অবদানের জন্য যথাযথ প্রাপ্তি স্বীকার ও স্বীকৃতি দিয়েছেন। সাতক্ষীরার এই তিন সন্তানের অর্জনে এবং পুরস্কার গ্রহনে সাতক্ষীরার প্রতিটি প্রান্তে বইছে আনন্দস্রোত। দেশের ভৌগলিকতা পেরিয়ে বিশ্বের সর্বত্র পৌছে গেছে তাদের কৃতিত্বের স্বীকৃতি। সাতক্ষীরা বাসির প্রত্যাশা সাতক্ষীরায় আরও জন্মনিক মোঃ তৈয়েব হাসান বাবু, শেখ বাসির আহমেদ, আর শামীম আল মামুনরা, তারা কেবল নিজেরা আলোকিত হলেন না, নিজেরা স্বীকৃতি পেলেন না, সাতক্ষীরাকে আলোকিত করলেন, আলোর বিচ্ছুরন ছড়ালেন। দৃষ্টিপাত পরিবার তিন ক্রীড়াব্যক্তিকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।