দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ চলছে চাষাবাদ, কৃষকের মুখে ক্লান্তীর ছোয়া কিন্তু আশা আর স্বপ্নের সম্মিলন থেমে নেই। বৃষ্টিতে ভিজে রৌদ্রে পুড়ে সোনার ফসল বপন করছে। দেখতে দেখতে কাদা মাটিতে রোপন করা আমন ধান ঘরে উঠবে কৃষকের, পাকা ধানের সোদাগন্ধে কৃষক কৃষানীর মন ভরে যাবে। আগামী বৈশাখের মধ্যে রোপন করা ধান ঘরে উঠে এমনটি জানালেন কৃষক শরিফুল ইসলাম। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় বরাবরই এই জেলা শষ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। জেলার কৃষকরা হরেক ধরনের ধান চাষ করে থাকে। গত কয়েকদিন মাঠে মাঠে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে কৃষককুল শেষ মুহুর্তে ধান রোপন করছে। একজন কৃষক জানালেন এই ধান গরমের ধান, এবং সেচের উপর নির্ভরশীল, উৎপাদন হলেই হয়। জেলার আশি ভাগ জমিতে ধান রোপন শেষ। আঠাশ ধানের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বেশী জানা যায় আঠাশ জাতের ধানের উৎপাদন যেমন আশানুরুপ অনুরুপ বাজার মূল্য লাভজনক। জেলার বিপুল পরিমান জমিতে চাষকরা আঠাশ ধান বরাবরের ন্যায় এবারও যথাযথ উৎপাদন হবে। গরমের এই চাষাবাদে উৎপাদন খরচ কম নয়। বর্তমান শ্রমিক মূল্য, সার, কীটনাশক সহ বিভিন্ন ধরনের পরিচর্যায় খরচ অনেক বেশী, প্রাকৃতিক দূর্যোগ এবং দুর্বিপাক এই সময়ে খুব বেশী দেখা না গেলেও বৈশাখের অনাকাঙ্খিত শিলা বৃষ্টি, ঝড় অনেক সময় ধানের ক্ষতি করে থাকে। কৃষকরা জানান অনেকে নাবি করে চাষ করে যে কারনে কাল বৈশাখির তান্ডবে পড়ে, অবশ্য এ ক্ষেত্রে কৃষকের কোন ধরনের অলসতা থাকে না। শষ্যের জমিতে ধান রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করতে সঙ্গত কারনে কিছুটা সময় লেগে যায়। উৎপাদনের সাথে জড়িত কৃষকদের একটি বড় অংশ ধার, ঋন, সুদের টাকা উপর নির্ভরশীল থাকে। কৃষকদের দাবী এবং প্রত্যাশা কৃষকদের জন্য অধিকতর সুযোগ সুবিধা প্রদান করলে চাষাবাদের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হবে। এক শ্রেণীর মধ্যস্বত্ত¡ভোগীদের লোলুপ দৃষ্টির বেড়াজালে কৃষক কুল, উৎপাদনের লাভ্যাংশে মহাজন এবং সুদখোরদের পকেটে যায়। জেলার কৃষকদের মাঝে চাষাবাদের এবং কৃষি কাজের গতি সঞ্চার করনে সব ধরনের ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষকে গ্রহন করতে হবে।