দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ দেশের সড়ক ও মহাসড়ক গুলো মোটর সাইকেলের উপস্থিতির কারনে বিপদজনক হয়ে পড়েছে। সড়কে সড়কে ঘটছে দূর্ঘটনা। অকাতরে প্রাণ হারাচ্ছে মানব সন্তান। সাতক্ষীরার বাবস্তবতায় সড়ক গুলোতে কিশোর, তরুন আর যুবকরা মোটর সাইকেল চালিয়ে বেহিসেবি ভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যে কারনে মোটর সাইকেলের কল্যানে দূর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। যে বয়সে বই খাতা কলম হাতে কিশোর তরুনদের স্কুল কলেজে যাওয়ার কথা সেই বয়সে তারা মোটর সাইকেল নিয়ে সড়কে সড়কে আতঙ্কিত চলাচল করছে। এক শ্রেনির অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের আব্দরা রক্ষা করতে বা বখে যাওয়া সন্তানের কাছে অসহায় হয়ে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে দূর্ঘটনার বাহন মোটর সাইকেল। ১৫/১৬ বছরের এক কিশোর জীবন এবং সড়ক সম্পর্কে কতটুকু জানে। জীবনের মুল্য সময়ের মূল্য আর সময়ের বিষয় তাদের কাছে একাকার। সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়কের পাশাপাশি সংযোগ সড়ক গুলোতে কিশোরদের মোটর সাইকেল চালনা সমান তালে চলছে। এ সকল কিশোর যুবকদের ড্রাইভিং সনদ নেই। অবশ্য অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ড্রাইভিং সনদের বিষয়টি আইনগত ভাবে বিধি নিষেধ। সন্তানের আহলাদ আর শখ মেটাতে যে সকল অভিভাবক সন্তানের হাতে মোটর সাইকল তুলে দিচ্ছে তারাতো জেনে শুনে বুঝেই সন্তানকে চরম দূর্ঘটনার কবলে টেলে দিচ্ছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় কিশোররা অত্যন্ত গতিতে কেবল মোটর সাইকেল চালিয়ে ফিরছে তা নয় সম্মুখ পানে চলাচল করা যান বাহন বা মোটর সাইকেল অত্যন্ত বিপদজনক ভাবে ওভারটেক করে হুহু করে চলে যাচ্ছে আর কোন কোন সময় ওভারটেক করতে যেয়ে সামনের যানবাহন বা মোটর সাইকেলে ধাক্কা দিয়ে উভয় দূর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। অতি সম্প্রতি দেবহাটা কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত তরফদার মোটর সাইকেল চেপে কলেজ যাওয়ার সময় অত্যন্ত দ্রুতগতিতে আসা এক কিশোর তার মোটর সাইকেল দিয়ে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই প্রশান্ত তরফদার পা ভেঙ্গে পড়ে থাকে এবং দ্রুত চলে যাওয়া কিশোরের মোটর সাইকেলে ভাঙ্গা পায়ের মাংস ছিন্ন ভিন্ন করে চলে যায়। অভিভাকরা যদি সচেতন ও সতর্ক হয় এবং সন্তানদের হাতে যদি মোটর সাইকেল না দেন তাহলে দূর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব। যে কিশোর/তরুন দূর্ঘটনায় আক্রান্ত হচ্ছে দৃশ্যতঃ সে কিন্তু একক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না। তার পরিবার সহ যে যান মালিকের সাথে দূর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে তিনিও তার পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অসহায়, অকাতরে আমাদের মাঝ থেকে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় অনেক তরুন, কিশোর যুবক পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে। একটি দূর্ঘটনার মৃত্যু সারা জীবনের কান্না। আর তাই দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বা আশঙ্কা থাকে এমন মাধ্যম হতে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে যে মাধ্যমটি হলো মোটর সাইকেল। সাম্প্রতিক সময় গুলোতে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলের ব্যবসা বিদ্যমান। কিশোর, তরুনরা অনেক সময় ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ভাড়া করে নিয়ে চালায় এটাও দূর্ঘটনাকে ত্বরান্বীত করছে। অভিভাবক বিশেষ করে পিতা মাতাকে অনুধাবন করতে হবে তাদের সন্তানের অন্যায় জীবনহানী ঘটার মাধ্যম মোটর সাইকেল এর বিষয়ে কোন ভাবেই আত্মসমর্পন করা যাবে না। আপনার সন্তান আপনারই। চিরতরে হারিয়ে গেলে আপনারই হারিয়ে যাবে। প্রিয় সন্তানকে সুস্থ রাখুন, দূর্ঘটনা বা অকাল মৃত্যু হতে রক্ষা করতে মোটর সাইকেলকে কঠোর ভাবে না বলুন।