বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সুন্দরবনে বিএসএফের রেখে যাওয়া ৭৫ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর দেবহাটা বিএনপির সদস্য নবায়ন উদ্বোধনী আয়োজনে জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত কলারোয়ায যুবদল নেতার ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ মুন্সীগঞ্জে তাপদাহে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ শ্রীউলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ভাড়াশিমলায় ২৫০ প্রান্তিক কৃষানের মধ্যে সবজির বীজ বিতরণ খুলনার সাবেক মহিলা কাউন্সিলর গ্রেফতার বসন্তপুর ফকিরপাড়া জামে মসজিদে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল

সাতক্ষীরায় একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের স্মরণ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

মাছুদুর জামান সুমন/মীর আবু বকর ॥ মাতৃভাষা বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবের অধ্যায়। তৎকালীন সময় বাংলা ভাষা এদেশের জনগনের প্রাণের দাবি ছিল। পাকিস্তানি সরকারের উদ্দেশ্যে ছিল রাষ্ট্রভাষা উর্দূ প্রতিষ্ঠা করা। তখন শাসক গোষ্ঠী প্রথমে আমাদের নার্য্য অধিকার ভাষার উপর আঘাত হানে। একই সাথে সরকার রাষ্ট্র ভাষা সর্বত্র উর্দূ ঘোষনা করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের মধ্য ঝড় উঠে যায়। পূর্ব পাকিস্তান জনগন মনে মনে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। শাসক গোষ্টি জানতে পেরে আগে থেকে আন্দোলনকে দমন করার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মতৎপরতা ও টহল শুরু করে। সেই ঘোষনার পর এদেশের ছাত্র, যুবক, কৃষক, শ্রমিক, চাকুরী জীবি সহ পূর্ব পাকিস্তানের আপামর জনগন সরকারের দমন নীতিকে উপেক্ষা করে রাজপথে ঝাপিয়ে পড়েন। ১৯৫২ সালের এ দিনে ঢাকা সহ সারা দেশ ভাষা আন্দোলনের জন্য উত্তাল হয়ে উঠে। ঢাকার রাজপথে শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মিছিলে মিছিলে জড় হতে তাকে। হাজার হাজার জনতারা ঐক্যবদ্ধ হয়। শুরু হয় মিছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই দাবি মোদের একটাই। মিছিল সামনে এগুতে থাকে। এমন সময় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গুলিতে ভাষাপ্রেমী জনতা দিক বিদিক ছুটতে থাকে। এর মধ্যে সালাম, বরকত, জব্বার, শফিক, রফিক সহ নাম অজানা অনেকে পুলিশের গুলি রাজপথে নিজেদের বুকের রক্ত বিলিয়ে দিয়ে শহীদ হন। বাঙ্গালী জাতি ও বিশ্বের ইতিহাসে এটি ১৯৫২ ভাষা আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা নামে পরিচিত লাভ করেছে। বিশ্বের বহু উন্নয়নশীল দেশ রয়েছে। সে খানে বিভিন্ন দাবি ও মতভেদ নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে মানুষের জীবন দিতে হয়। কিন্তু মাতৃভাষার জন্য বিশ্বের কোন দেশের মানুষের জীবন দেয়ার নজীর নেই। বহু শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মাতৃভাষা বাংলা। পেয়েছি বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ পাকিস্তানের হাত থেকে রক্ষা পেতে আন্দোলন শুরু করে। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন বাংলাদেশ। বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে বলতে পারি আমরা বাংলাদেশের নাগরিক আমাদের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা। ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ কারী সেই সব শহীদদের স্মরন করবে গোটা বাঙ্গালী জাতি। সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরায় মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। এই লক্ষে মহান একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক মো: আশরাফুজ্জামান আশু, জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলীম আল রাজী সহ বিচার বিভাগের বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী, জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলাম সহ আ’লীগের নেতৃবৃন্দ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ………. সিভিল সার্জন ডা: শেখ সুফিয়ান রুস্তম, সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আলহাজ্ব কাজী ফিরোজ হাসান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো: নাজিম উদ্দীন সহ কাউন্সিলরবৃন্দ, জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন সহ নেতৃবৃন্দ, দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নূর ইসলাম, জেলা পরিষদের উদ্যোগে পরিষদের চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলাম সহ সদস্য ও প্রধান নির্বাহী সাধন কুমার সহ কর্মকর্তাবৃন্দ, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো: কামরুজ্জামান, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম শফিকুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্যরা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শামিম ভুইয়া, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমানুল্লাহ আল হাদী, সাতক্ষীরা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু, সাতক্ষীরা সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ফেরদৌস আরেফিন, টিটিসির অধ্যক্ষ———- জেলা জুয়েলারী সমিতির সভাপতি গৌরদত্ত ও সাধারন সম্পাদক মনরঞ্জন কর্মকার সহ সমিতির নেতৃবৃন্দ,

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com