দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ পানির অপর নাম জীবন তবে চাই বিশুদ্ধ ও সময় মত। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় অগভীর নলকুপে পানি ওঠার পরিমান আশঙ্কাজনক ভাবে হ্রাস পেয়েছে। এক কলস বা এক কলসি পানি তুলতে নলকুপের ডাটি দীর্ঘ সময় টানতে হয়, অধিকাংশ পুকুরে পানি স্বল্পতা, পুকুর গুলোতে পানির পরিমান কমে যাওয়ায় অতি তাপে এবং রৌদ্রের কারনে পুকুরে বিচরন করা মাছ মারতে শুরু করেছে। জনসাধারনের গোসল করার জন্য অতিরিক্ত পানি পূর্ণ পুকুরে যেতে হচ্ছে। গভীর নলকুপ গুলোতে যথাযথ ভাবে পানি উঠছে, সাতক্ষীরার বিশলক্ষাধীক জনসাধারন প্রতিনিয়ত নিত্য দিনের ব্যবহারের পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার করে থাকে। বর্তমান সময় গুলোতে ইরি বরো ধানের চাষ চলছে। বিধায় প্রতিদিনই বিপুল পরিমান পানির ব্যবহার ঘটছে। ইরি বরো ধানের পাশাপাশি নানান ধরনের কাটা খন্দক অর্থাৎ সবজি চাষে ব্যবহৃত হচ্ছে ভ-গর্ভস্থ পানি। এখানেই শেষ নয় নানান ধরনের শিল্প কর্মে, নির্মান সামগ্রীতে ব্যবহৃত হচ্ছে পানি। অগভীর নলকুপের পানির উপর আস্থা করতে না পারায় গভীর নলকুপ ব্যবহারকারীরা নলকুপের মটর ফিট করে বাসা বাড়ীর কাজে পানির ব্যবহার ঘটাচ্ছে। সাতক্ষীরার শহরে পৌরসভার কল্যানে ভূ-গর্ভস্থ পানি সরবরাহ থাকলে উপজেলা গুলোর জন্য বিশুদ্ধ এবং যথা সময়ে পানি পাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে গভীর নলকূপ, সদর উপজেলা সহ অপরাপর উপজেলা গুলোতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের আওতায় গভীর নলকুপ বসানো হয়েছে এবং চলমান অব্যাহত আছে। এটাও বাস্তবতা যে বিভিন্ন পন্থায় মানুষ প্রয়োজনে ভূ-গর্ভস্থ পানি একের পর এক উত্তোলন ও ব্যবহার করায় অতি দ্রুততার সাথে পানি স্তর নেমে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে পুকুর এবং জলাশয়ের উৎস্য গুলো দিনে দিনে ভরাট করা হচ্ছে। সাতক্ষীরার উপর দিয়ে বহমান বিশেষ করে সংযোগ খালগুলো দখল ও দুষনের কবলে পড়ায় উপ বিভাগের তথা স্থল ভাগের পানি হ্রাস পাচ্ছে যার প্রভাব ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরে প্রভাব ফেলছে। সাতক্ষীরায় বর্তমান সময় গুলোতে বৃষ্টিপাতের দেখা নেই চলছে খরা, প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন পুড়ছে আর যে কারনে পুকুর ও জলাশয়ে পানি হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরে তার বিরুপ প্রভাব ফেলছে। বৈজ্ঞানিক ভাবে স্বীকৃত যে, ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রবেশ করা পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে ভূগর্ভস্থ পানি স্তর। আবার বিভিন্ন ঝর্ণা ধারায় বা ছিদ্রপথে চুইয়ে পড়ে প্রাকৃতিক ভাবে এর নির্গমন হয়। বিধায় এক কথায় বলা যায় ভূ-গর্ভস্থ পানির উৎস্য প্রধান ভিত বা উপায় ভূ-পৃষ্ঠ। আর তাই বেশী বেশী পুকুর, জলাশয়, ঝর্ণা ধারার ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান রমজানের সময় গুলোতে রোজাদারদের জন্য বিশেষ স্বস্তি এবং সম্ভাবনার বিষয়টি হলো পানির সহজলভ্যতা এবং সহনশীল আবহাওয়া কিন্তু আশপাশের পুকুর গুলোতে কাঙ্খিত পানি না পাওয়ায় দুর দুরান্তের পুকুরে যেতে হচ্ছে। বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে এমন পরিস্থিতি আগামীতে আরও প্রকট আকার ধারন করতে পারে বিধায় ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে হবে। পানি ব্যবহার যতবেশী কমানো যাবে পনির স্তর ততোবেশী সুরক্ষিত থাকবে। সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় পানি অভাব দেখা না গেলেও বিশুদ্ধ পানির অভাব কোন কোন সময় গুলোতে প্রকট হয়ে ওঠে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর, কৃষি দপ্তর বর্তমান সময় গুলোতে পানি ব্যবহারে এগিয়ে পরিবেশ বাদীরা অনেকটা কিং কর্তব্যবিমুখ।