শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

সাতক্ষীরায় বানিজ্যিক ভাবে হরিনা চিংড়ীর চাষ হচ্ছে বেড়েছে অর্থনৈতিক মূল্য ও চাহিদা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১১ জুন, ২০২৩

দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ সাতক্ষীরায় বাগদা চিংড়ীর উর্বর ক্ষেত্র বহুদিনের। বৈদেশিক মূদ্রা উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত বাগদা চিংড়ীর বাজার দরের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে হরিনা চিংড়ী। অত্যন্ত স্বুসাধু জাহের হরিনা চিংড়ীর অর্থনৈতিক মূল্য অতি দ্রুততার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাতক্ষীরার চিংড়ী ঘের গুলোতে ইতিপূর্বে লবনাক্ত পানির সাথে হরিনা ডিম বা রেনু প্রাকৃতিক ভাবে ঘেরে প্রবেশ পরবর্তি অজানায় ঘেরে বৃদ্ধি পরবর্তি বাজারজাত করন করতেন ঘের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সা¤প্রতিক বছর গুলোতে বাগদা চিংড়ীর ন্যায় হরিনার চাষ বানিজ্যিক ভাবে হচ্ছে। বাগদা চিংড়ী অপেক্ষা হরিনা চিংড়ীর বিচরন ক্ষেত্র দুর্বল নয়, বাগদা অক্সিজেনহীন পরিবেশ বা দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে জীবন ধারনে ব্যর্থ হলেও হরিনা চিংড়ী সব ধরনের পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে পানিতে অক্সিজেনের ঘাটতি থাকলেও এই প্রজাতির মাছের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যা হয় না। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় গত কয়েক বছর যাবৎ বানিজ্যিক ভাবে চাষ হওয়ায় হরিনা চিংড়ীর বাজার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সময়ে বাজারে হরিনা কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাগদা সর্বাপেক্ষা বড় সাইজের কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০০/৯০০ টাকায়। হরিনা চিংড়ী ও বিশ্ববাজারে বিশেষ অবস্থান সৃষ্টি করলেও দৃশ্যতঃ দেশের বাজারে এর চাহিদা সর্বাধিক। সাতক্ষীরার মৎস্য আড়তগুলো হতে পাইকার ব্যবসায়ীরা হরিনা সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠাচ্ছে এবং ব্যবসা সফল হচ্ছে হরিনা বাজার। সাতক্ষীরায় কক্সবাজার হ্যাচারী ও স্থানীয় পর্যায়ের হ্যাচারীগুলোতে উৎপাদিত চিংড়ী পোনা ঘের ব্যবসায়ী সংগ্রহ করে অন্যদিকে হরিনা চিংড়ীর রেনু সংগ্রহের মাধ্যম এখনও পর্যন্ত ইছামতী নদী, কাকশিয়ালী সহ অপরাপর নদী। নদী ধার দিয়ে ঠেলা জালের মাধ্যমে জেলেরা বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেনু সংগ্রহ করে তার মধ্যে হরিনা রেনু উলে­খযোগ্য, সুখের খবর বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানিরা দেশীয় প্রজাতির লবনাক্ত পানির হরিনা উৎপাদন ও চাষাবাদের লক্ষে দেশে প্রথম বারের মত গবেষনা কার্যক্রম শুরু করেছে। তিন মাসের মধ্যে হরিনা বাজারজাত করনের উপযুক্ত হয়। হরিনা চাষীরা জানান পোনা যথাযথ ভাব পেলে উৎপাদন শতভাগ কিন্তু এক্ষেত্রে এক শ্রেনির অসাধু হরিনা রেনু ব্যবসায়ীরা সিকি বা সিপিতে হরিনা রেনু বলে অন্য কিছু দেয় যে কারনে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আবার কোন কোন সময় হাড়ি চুক্তিতে ও হরিনা রেনু ক্রয় বিক্রয় হয়। অতি ক্ষুদ্রাকৃতির বিধায় প্রতারনার পাশাপাশি রেনু ব্যবসা অনুমান নির্ভর ও বটে। দেশীয় প্রযুক্তিতে বাগদার ন্যায় হরিনা রেনু উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হলে চাষীরা নিশ্চিত ভাবেই হরিনা রেনু জেনে ঘেরে অবমুক্ত করতে পারবেন। হরিনা চাষ এবং বাজার জাত সেই সাথে ব্যবসা এই সংশ্লিষ্টতায় বিপুল সংখ্যক কর্মজীবী মানুষ জড়িত। সাতক্ষীরায় হরিনা চিংড়ী চাষ বানিজ্যিক ভাবে আরও অধিক পরিমান উচ্চতায় পৌছাক অর্থনীতিতে সুবাতাস প্রবাহীত হোক এই প্রত্যাশা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com