শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:২৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

সাতক্ষীরায় বৃষ্টিতে শহরের সড়কে সড়কে পানি জনদূর্ভোগ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩

কুলিয়া খাল, কোমরপুর স্লুইজগেটের কারনে জলাবদ্ধতা ও হুমকির মুখে শত সহস্র চিংড়ী ঘের
দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ দিনব্যাপী কখনও গুড়ি আবার কোন কোন সময় মুষলধারে বৃষ্টিপাত, দিনে সামান্য সময়ের জন্যেও সূর্যের আলো দেখা যাইনি, রাস্তাঘাটে, বাজারে লোক সমাগম ছিল যৎ সামান্য। সকাল থেকেই এমন অবস্থা ছিল সাতক্ষীরার সর্বত্র। সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে আবহাওয়া দপ্তর আগেই সতর্ক করেছিল বৃষ্টিপাতের। জেলার কোন কোন এলাকাতে শনিবার রাত থেকেই বৃষ্টির আনাগোনা শুরু হয়। জেলার কৃষকদের জন্য গতকাল ছিল কিছুটা ভোগান্তীর সারা দিনে বৃষ্টি না থামায় বৃষ্টির পানিতে ভিজে কাদামাটিতে একাকার হয়ে আমন ধান রোপন করেছে। কোন কোন এলাকাতে আমন ধান রোপনের জন্য প্রস্তুত করা জমিতে প্রয়োজনের অধিক পানি জমায় পানি সেচের পর আমন বীজ করতে হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের পৌরসভার আওতায় সংযোগ সড়কগুলো পানিতে ভেসেছে। শহরের কোন কোন এলাকায় হাটু পানি জমেছে। শহর বাসি চরম ভোগান্তী আর বিড়ম্বনাকে সঙ্গী করে ঘরের বাইরে বের হয়েছে অনেকে বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতার কারনে ঘর হতে বের হইনি। শহরের মুনজিতপুর, পলাশপোল, কালেক্টর চত্বর সহ আশপাশের এলাকা, মধুমল­ার ডাঙ্গি, কামাল নগর সহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক গুলোতে পানির স্রোত বইছে। অতি বৃষ্টির কারনে জেলার চিংড়ী ঘেরগুলো বিপদসীমায় পৌছেছে। ছোট বড় চিংড়ী ঘেরের ভেড়িবাঁধ হুমকির মুখে। জেলার কুলিয়া খাল খননের দীর্ঘ সূত্রিতার কল্যানে চিংড়ী চাষীরা যথাসময়ে চিংড়ী ঘেরগুলোতে লবনাক্ত পানি উত্তোলন করতে পারেনি। বর্তমান সময়ে কুলিয়া খাল জেলার সদর উপজেলা, আশাশুনি ও দেবহাটার পানি নিষ্কাষনে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা দিয়েছে। কুলিয়া খাল পুনঃখনন শেষ না হওয়ায় পানি নিষ্কাষনে সমস্যা হচ্ছে অন্যদিকে শাকরা কোমরপুর স্লুইজগেট কোন কোন সময় বন্ধ রেখে, আবার উন্মুক্ত করে মাছ শিকার করছে এক শ্রেনির সুবিধা ভোগীরা আর এজন্য টিকেট সূবর্ণাবাদ, শান্তা সহ আশপাশের চিংড়ী ঘের গুলো ডুবতে বসেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত¡াবধানে স্লুইজ গেট বিধায় জোয়ারের সময় বন্ধ এবং ভাটার সময় উন্মুক্ত রাখার নিয়ম মানা হলে পানি নিষ্কাষনে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ভুক্ত ভোগীরা জানান স্লুইজগেট যথারীতি নিয়মের আওতায় থাকলে বড় ধরনের বৃষ্টিপাত হলেও ঘের ডুবে যাবে না। পানি ইছামতিতে যেয়ে পড়বে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইজগেট রক্ষনাবেক্ষন এবং পরিচালনার জন্য নির্দিষ্ট পদধারী কর্মচারী অস্তিত্ব থাকার কথা এক্ষেত্রে স্লুইজগেট এলাকা পরিদর্শনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল কাউকে দেখা যাইনি। এদিকে বৃষ্টির পানি আর পূর্ণিমা গোনের প্রভাবে সীমান্ত নদী ইছামতিতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘ দিন, বছরের পর বছর ভাঙ্গন কবলিত ইছামতির সীমান্ত পারের জনবসতির মাঝে আতঙ্ক থেমে নেই। বিশেষ করে ভাতশালা ও কোমরপুর এলাকা ভাঙ্গন দীর্ঘদিনের। নাংলা এলাকার ভাঙ্গন রোধে কাজ চলমান, গতকালের বৃষ্টিতে জেলার রবিশষ্য তথা কাটাখন্দকে বিরুপ প্রভাব পড়তে যাচ্ছে। সবজি বাগানে পানি জমে উৎপাদনকে বাঁধাগ্রস্থ করবে বলে আশঙ্কা করছেন চাষীরা। জলাবদ্ধতা নিরসনের এবং অতি বৃষ্টিপাতের ধকল সামলানোর একমাত্র পথ পানি নিষ্কাষন ব্যবস্থা সুসংহত রাখা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com