স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরা শহরের ভূমিদস্যু সাত্তার, কবির ও মনির গংদের বিরুদ্ধে জাল দলির সৃষ্টি করে ভূমি দখলে অভিযোগ এনে গতকাল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা: মো: সহিদুর রহমান। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন দীর্ঘকাল সাতক্ষীরা ঢাকায় গনমানুষের চিকিৎসা প্রদান করে আসছি। এলাকায় শিক্ষা স¤প্রসারণের লক্ষে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েছি। ১৯৯৪ সালে আমার গ্রামের শহীদ স্মৃতি কলেজ ও নারী শিক্ষার প্রসারের লক্ষে বি কে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করি। ইসলামী র্শিক্ষা ও সাধারন শিক্ষার সমন্বয়ে ক্যাডেট মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছি। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। পাক বাহিনীর হাতে ধৃত হতে কৌশলে মুক্ত হয়ে ফিরে এসেছি। ২০১০ সালে সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর মৌজায় ২১৮,২২৪,২১৫, খতিয়ানে ২৬২, ২৬৩ নং দাগে ৩১ শতাংশ সম্পত্তির মধ্যে ১৯ শতক ক্রয় করি। এরপর থেকে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী গ্র“প গভীর চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে দখল করে রাস্তা তৈরি পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। ঐ ৩১ শতক জমি মধ্যে মোঃ মজিবর রহমানের ১১ শতাংশ ও আমার কাছে ১৯ শতাংশ জমি বিক্রয় করে ইফতেখার জালাল গং নিঃশর্ত হয়েছেন। আধা শতাংশ জমি রাস্তায়। দলিল দস্তাবেজ পর্যালোচনা করে ইহা প্রমানিত। ইফতেখার জালাল সহ ৪ ভাই এবং তাদের মা মোমেনা খাতুন বিক্রেতা। জমি ক্রয়ের ১ মাস পর ইফতেখার জালাল পাটিশান মামলা করে, সেখানে তিনি উলেখ করেন তার মায়ের নামে ২৪০৭ নং দলিল মূলে জনৈক আকরাম গাজীর নিকট থেকে ৬ মার্চ ১৯৮১ সালে ৮ শতক জমি ক্রয় করেন। আকরম গাজীর জমির পরিমান ১৫ শতক। যা তিনি ক্রয় করেন লুৎফর খার নিকট হতে ২টি দলিল মূলে। যথাক্রমে তারিখ ২০ জানুয়ারি ১৯৮১ দলিল নং ৫৯৮ ও ৪ মার্চ ১৯৮১ যার দলিল নং ২৩৫০ জমি ১১ শতক। অপরদিকে ১৮ আগষ্ট ১৯৮১ সালে ৭৭৫০ দলিল মূলে শাহজাহান সানার কাছ থেকে ৮ শতক জমি ক্রয় করেন মোমেনা খাতুন, ইফতেখার জালাল ও নূর ইসলাম। পর্যায়ক্রমে তারা আরো বিভিন্ন জনের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন যার পরিমান ৩১ শতক। এখান মুজিবরের কাছে সাড়ে ১১ শতক ও আমার কাছে ১০৩৫৬ নং দলিল মূলে ১০ নভেম্বর ২০১০ সালে ১৯ তক। অথচ ইফতেখার জালাল আদালতে পাটিশান মামলা করেছে ১১ বছর আগে। তিনি আরো বলেন, আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন কিন্তু কোন আদেশ দেই নাই। ইফতেখার জালাল ও নূর ইসলাম ২৫ অক্টোবর ইংসালে ২৫৬৯ হাল দাগে ৪.৩২ শতাংশ জমি অনিবন্ধিত বায়না করেছে ময়নুর আরেফিন মনি ও শাহীনুজ্জামানের কাছে। ইফতেখার জালাল সাতক্ষীরা সদর থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে উলেখ করেছে ২১৮, ২২৪, ৫১৫ দাগ নং ২৬২ ও ২৬৩ জমির পরিমান ২৩ শতক যার মধ্যে মজিবর রহমানের কাছ ২ শতক ও আমার নিকট ১৯ শতক জমি বিক্রয় করে। এটি অসত্য তথ্য। আমার দলিলে উলেখ আছে জমির পরিমান ২১.৮৯ শতক। সেখান থেকে আমাকে ও মজিবর রহমানকে ২১ শতক জমি বিক্রয় করেছে। স¤প্রতি আদালতে একটি সংশোধনী দিয়েছে সেখানে তারা দাবী করেছে তাদের জমির পরিমান ৪.৮ শতক। উলেখিত ৪টি বিষয়ে জমির পরিমান ৪ রকম যা দ্বারা প্রমানিত যে তারা অসৎ উদ্দেশ্যের দ্বারা প্রভাবিত এবং অবৈধভাবে দখল নিতে চায়। তার মায়ের অংশ হলো ৯.৫ শতক ও ৪ ভাই মিলে ৯.৫২ শতক এ মিলে ১৯.২ শতক। যা ক্রয় সূত্রে মালিক ৮ শতক ও ২.৬৬ শতক মোট ১০.৬৬ শতক। যার মধ্যে আমাকে দিয়েছে ৯.৫ শতক, মজিবর কে দিয়ে ২ শতক, এখানে তার মা আমাকে ক্রয়কালে .৯ শতক জমি কম দিয়েছে। তিনি আরো বলেন সা¤প্রতিক সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জমি সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে তা অসত্য। বাস্তবতা বর্জিত। সে কোন জমির মালিক না। আদালতে পার্টিশান মামলা করেছে, মামলাটি চলমান, তাতে যদি রায় তার পক্ষে যায় তবে সে মালিক হবে। এখন সে কোন পরিমান জমির মালিক না তাহলে তারা কিভাবে রাস্তার জন্য আমার জমি দখল করে। বিষয়টি তারা প্রতারণার পর্যায়ে নিয়ে আইন ভঙ্গ করেছে, শান্তি শৃংখলা ভঙ্গ করেছে। ঐ সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে জানুয়ারী ২১ সকাল ৮টার দিকে ইফতেখার জালাল, ময়নুর আরেফিন, সাত্তার, কবির, মনির ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে জোরপূর্বক আমার ভূমিতে প্রবেশ করে প্রাচীর ভেঙে এবং সীমান পিলার তুলে রাস্তা তৈরি করেছে। অনুরুপ ভাবে ১৭ ফেব্র“য়ারী ২২ আমার সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে। তার পরদিন সংঘবদ্ধ চক্রটি সশস্ত্র অবস্থায় সীমানার মধ্যে ঢুকে আমার বাসায় অবস্থানরত নজরুল ইসলাম মিলটন ও তার স্ত্রী উপর হামলা চালায়, তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে এবং খুন জখম করতে উদ্যাত হয়। পাশে তার স্ত্রীর উপর চড়াও হয়, তাকে ধর্ষন করার হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এছাড়া আমাকে সহ আমার লোকজনের হত্যা সহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করে। তাদের চলাচলের রাস্তা দিতে হবে এতে আমি কখনো আপত্তি করিনি, তাদের কাছে ক্ষতি পূরণ চেয়েছি, আমার ক্রয়কৃত বৈধ সম্পত্তি পুরন করে দিতে বলেছি, এর কোনটাই তারা মানতে নারাজ, আমার সম্পত্তি পরিমান ১৯ শতক তারা এর মধ্যে ২ শতক দখল করে রেখেছে। আমি ওই ভূমিদস্যুদের কবল থেকে আমার ক্রয়কৃত ১৯ শতক সম্পত্তি বুঝে পেতে এবং চক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।