দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ সবজি বাজারের উত্তাপ বেড়েই চলেছে। ক্রমান্বয়ে সবজি পন্যের মূল্য বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া ছুটছে তো ছুটছেই। উৎপাদনের ঘাটতি নেই, বাজারে সবজির উপস্থিতি ও কম নয় কিন্তু মুল্য হ্যাসের পরিবর্তে বেড়েই চলেছে। সাতক্ষীরার বাজার ব্যবস্থায় সবজি বাজারের স্থিতিশীলতা বিশেষ দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হলেও বর্তমানের চিত্র ভিন্ন, আর এ জন্য খুচরা বিক্রেতা সহ সবজি চাষ বিপনন ও ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িতদের ছাফ কথা সবজি বাজারে মধ্যস্বত্ত¡ভোগীদের অনুপ্রবেশ এই বাজারকে অস্থির করে তুলেছে। জেলার শষ্য ভান্ডার তথা সবজি উৎপাদন স্থল হিসেবে পরিচিত সদর উপজেলা পাটকেলঘাটা, তালা, কলারোয়ায় ব্যাপক সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। লবনাক্ত এলাকা হওয়া স্বত্তে¡ও দেবহাটা, কালিগঞ্জ, শ্যামনগর আশাশুনিতেও সাধারন সবজির পাশাপাশি লবনাক্ত আবহাওয়া স্থানীয় সবজির চাষ হচ্ছে। চাহিদা এবং সরবরাহের ব্যবধানে থাকলে সেক্ষেত্রে মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ থাকে কিন্তু এ ক্ষেত্রে এক শ্রেনির মধ্যস্বত্ত¡ভোগীরা কৃষকের উৎপাদিত সবজি বাজারে আনার পূর্বেই পাইকার ব্যবসায়ী নামধারী মধ্যস্বত্ত¡ভোগীরা তা ক্রয় করছে এবং উক্ত সবজি কয়েক হাত বদল হয়ে অবশেষে ভোক্তা পর্যায়ে পৌছাচ্ছে। এক্ষেত্রে কৃষক ও যে যথাযথ মুল্য পাচ্ছে তা নয়। জেলার বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত সবজির বৃহত্তর পাইকার বাজার শহরের সুলতানপুরস্থ বড় বাজার, একই সাথে উপজেলা বিভিন্ন আড়ৎ এর অস্তিত্ব বিদ্যমান। খোজ নিয়ে জানাগেছে আড়ৎদাররাই মূলতঃ সবজির বাজার নিয়ন্ত্রন সহ মুল্য নির্ধারনে কম বেশী ভূমিকা রাখে। আরও একটি বিষয় উল্লেখ্য কাচকলা, কুমড়ো, আলু, কাঁচা ঝাল, ওল সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি পৃথক পৃথক আড়তে ওঠে। আড়ৎদারদের কারোর কারোর মালদিত ব্যবসায়িক সমঝোতার কারনে একেক আড়ৎ একেক সবজির আমদানী ঘটায়। এক্ষেত্রে উক্ত সবজির মূল্য নির্ধারন বা বিক্রয় মুল্য সেই আড়তের উপর নির্ভরশীল এভাবে অস্থির হয়ে পড়েছে সবজি বাজার। সাতক্ষীরার হাটবাজার গুলোতে বর্তমান সময়ে কাচামালের ঝাজ বেড়েই গেছে। আমদানী হলেও কেজি প্রতি তিন থেকে তিনশত পঞ্চাশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, মিষ্টি কুমড়ো কেজি প্রতি ৪০/৪৫, কাচকলা কেজি প্রতি ৪৫/৫০, ওল কেজি প্রতি ৬৫/৭০, কচুরমুখি কেজি প্রতি ৪০/৫০, মাঝারী সাইজের লাউ ৪০/৫০ টাকা, ঢেড়শ ৪০/৪৫ টাকা, পিপে ৩০/৩৫ টাকা, পুইশাক কেজি প্রতি ২০, শাক বিশ টাকা তাড়ি, প্যাচেঙ্গা ৪০/৪৫ টাকা আমড়া কেজি প্রতি ৩০/৩৫ টাকা, আলু ৩০/৩৫ টাকা, গোল আলুর বাজারেও এক শ্রেনির সিন্ডিকেট সংশ্লিষ্ট এক শ্রেনির মওজুদকারীরা হিমাগারে রক্ষিত আলু চাহিদা অনুসারে বের করছেন। সবজির বাজারের পাশাপাশি মাছ মাংসের বাজারেও অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশেষ করে মুরগীর মুল্য বৃদ্ধি ঘটনা চলমান, সোনালী মুরগী দেশী মুরগী বলে বিক্রির প্রবনতা ও শেষ নেই। বাজারে তেলাপিয়া মাছের মুল্য অতীতের যে কোন সময়ের রেকর্ড ভেঙ্গেছে। মাঝারী সাইজের তেলাপিয়া কেজি প্রতি ৭০/৮০ টাকা, মাঝারী সইজের রুই, মৃগেল দুইটায় কেজি ১৬০/১৭০ টাকা, ভোক্তার অধিকার সংরক্ষন দপ্তরের অবিলম্বে বাজার তদারকি করা প্রয়োজন। এবং সিন্ডিকেট চক্রদেরকে আইনের আওতায় আনা জরুরী।