ঢাকা, সিলেট বরিশালের বাজারে ব্যাপক চাহিদা
দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ সাতক্ষীরা কেবল মাত্র চিংড়ী শিল্পে এগিয়ে নেই এবং বৈদেশিক মুদ্রা সহ দেশীয় মুদ্রা উপার্জনের একক মাছ নয়। জেলায় সাদা মাছ চাষে বিপ্লব ঘটেছে। এবং সাদা মাছ চাষে বিশেষ সাফল্য পাওয়ায় এই চাছে ঝুকে পড়েছে চাষীরা। গত দুই তিন বছরের সাতক্ষীরার অর্থনীতিতে চিংড়ী শিল্পের পাশাপাশি মাছ শিল্প যথাযথ ও কাঙ্খিত ভূমিকা রেখে চলেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌচেছে যে, লবনাক্ত চিংড়ী গেরেও মিঠা প্রজাতির রুই, মৃগেল, কাতলা, চিতল সহ বহুবিধ মাছের চাষ হচ্ছে এবং চাষীরা সফ ও পাচ্ছে। বাগদা এবং গলদা চিংড়ী সাম্প্র্রতিক বছর গুলোতে অনিশ্চিত উৎপাদন ব্যবস্থা চাষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কথিত ভাইরাস সহ নানান ধরনের রোগ বালাই চিংড়ীকে গ্রাস করেছে সেই সাথে মানসম্মত চিংড়ী রেনুর অভাব এবং অগ্নী মূল্য দিনে দিনে চিংড়ী চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে চাষীরা পক্ষান্তরে সাদা প্রজাতির মাছ চাষ দুশ্চিন্তা মুক্ত, বন্যা বা অতি বৃষ্টিতে জলাশয় ডুবে মাছ চলে যাওয়ার শঙ্কা ব্যতিত অন্য কোন ঝাক্কি ঝামেলা নেই। লবনাক্ত পানির মাছ ভেটকি, পারসে, ভাঙ্গন মাছের ও চাষ হচ্ছে সাতক্ষীরায় এক কথায় জেলায় বর্তমান সময়ে সাদা প্রজাতির মাছ উৎপাদনে যেন এগিয়ে অনরুপ ভাবে বিপুল সংখ্যক মানুষ এই চাষের সাথে সংশ্লিষ্ট। সাতক্ষীরায় চাষ করা রুই, মৃগেল, কাতলা, গ্লাসকাপ, ট্যাবলেট মাছ উঠতে শুরু হয়েছে। গত কয়েকিদন যাবৎ জেলার হাটবাজার গুলোতে মাছের মূল্য কিছুটা হ্রাস ও পেয়েছে। ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ চিংড়ী ব্যবসা বন্ধ করে সাদা মাছ ব্যবসায়ী নেমেছে। সাতক্ষীরার সাদা মাছ রাজধানী ঢাকা, সিলেট সহ বৃহত্তর সিলেট, বরিশালে ব্যাপক ভিত্তিক যাচ্ছে। জেলার বড় বাজার আশাশুনীর দেবহাটার পারুলিয়া ও গাজীর হাট, কালিগঞ্জের বুধহাটা, চাপড়া, ফুলতলা সহ অন্যান্য এলাকা শ্যামনগরের বংশীপুর ভেটখালী ঈশ্বরীপুর সহ জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে ট্রাক কি ট্রাক সাদা মাছ দেশের বিভিন্ন এলাকার বাজারে যাচ্ছে। গতকাল এই প্রতিনিধি রাজধানী ঢাকা, সিলেট, বরিশাল সহ অন্যান্য এলাকায় মাছ প্রেরনের প্রক্রিয়া সরেজমিন প্রত্যক্ষ করেন। ককসিটে বরফের কুচি তার উপর এক নাচ মাছ তার উপর বরফ এই ভাবে ককসিটের উপরের অংমে বরফ কুচি দিয়ে কসটেপ দিয়ে মুখ আটকিয়ে ট্রাকে তুলছে, ব্যবসায়ীরা জানান যতদিন পর্যন্ত ককসিটের মুখ উন্মুক্ত না করা হজে ততো দিন পর্যন্ত ককসিটের অভ্যন্তরের মাছ নষ্ট হবে না। সাতক্ষীরার হাটবাজারে পাইকারী দরে কেজি কেজি রুইমাছ কেজি প্রতি ব্যবসায়ীরা ক্রয় করছেন ১৮০ হতে ২০০ টাকাত যা ঢাকা ও সিলেটের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বা তার কম বেশী। মাডছ উৎপাদনকবারী চাষীরা জানান রেনু মাছ ক্রয় পরবর্তি তারা ঢালাই করে পুকুর, ঘের ও জলাশয়ে উন্মুক্ত করেন। াবার অনেকে ১০/১৫টি কেজিতে সংগ্রহ করেন, এখানেই শেষ নয় কেউ কেউ ২/৩টি কেজিতে রুই, কাতলা সংগ্রহ করে চাষ করেন। চিংড়ী ঘেরগুলোর পানি বৃষ্টির পানিতে দুধ লবন হলে উন্মুক্ত করেন বিশেষ করে শ্রাবন মসাসে লবনাক্ত ঘেরে সাদা মাছ চাষের উপযুক্ত সময়। সাদা মাছ উৎপাদনে চাষিরা যেমন সাফল্য পাচ্ছেন অনুরুপ ভাবে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন।