আদালত প্রতিবেদক \ যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দোসী সাব্যস্ত করে ঘাতক স্বামী আজগার আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক এমজি আজমের আদালত। গতকাল বিজ্ঞ বিচারক এই আদেশ প্রদান করেন। আশি হাজার টাকা যৌতুকের দাবীতে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরের এন্তাজ আলীর পুত্র ফাঁসির দন্ড প্রাপ্ত আজগার আলী নিজ স্ত্রী রেহেনা পারভীনকে হত্যা করে। আসামী পলাতক থাকায় রায় ঘোষনার সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন না। মামলার বিবরনে জানা যায় ১৯৯৪ সালে সুলতানপুরের এন্তাজ আলীর পুত্র আজগার আলীর সাথে সদর উপজেলার গোবরদাড়ি গ্রামের আঃ মান্নানের কন্যা রেহেনা পারভীনের বিবাহ হয়। বিয়ের কয়েকমাস ব্যবধানে স্বামী সহ পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের দাবীতে রেহেনার উপর বিভিন্ন সময় অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে পিত্রালয় হতে অন্তত ৮০ হাজার টাকা আনার কথা বলে রেহেনা অপরাগত প্রকাশ করলে ১৯৯৭ সালের ২০ এপ্রিল বিকাল তিনটা থেকে চারটার মধ্যে রেহেনাকে পিটিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় নিহতের চাচা শওকত আলী সরদার বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উলেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন। ১৯৯৮ সালে আসামী আজগার আলী ও তার ভাই রুহুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ (ক) ধারায় অভিযোগ গঠন করে। মামলা চলাকালীন সময়ে রুহুল কুদ্দুস মৃত্যু বরন করেন। আসামী আজগর আলী পলাতক থাকেন। গতকাল রায় ঘোষনার সময় ও পলাতক ছিল। মামলার নথি ১২ জন সাক্ষীর জেরা ও জবানবন্দী পর্যালোচনা শেষে পলাতক আসামী আজগার আলীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানীত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক এমজি আজম এর আদালত তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন।