স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়াতের সাথে জেলার স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক অধিকার উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক ও জেলা নাগরিক অধিকার উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি জিএম নূর ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সাধারন সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান বাবু তিনি বলেন বর্তমানে হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক সঠিক ভাবে সময় দেয়না। তারা বিভিন্ন ক্লিনিকের সাথে জড়িত থাকায় ঐ সকল ক্লিনিকে বেশি সময় দেন। হাসপাতালের আরএমও ঠিক মত হাসপাতালে সময় দেয় না। ব্যক্তিগত ক্লিনিকে বেশি সময় দেন। অদক্ষ লোকজন দিয়ে জরুরী বিভাগ পরিচালনা করা হয়। সেখানে ভূক্তভোগীরা কাঙ্খিত সেবা পাইনা। রোগীদের সঠিক সেবা না দিয়ে কর্মচারীরা বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠায়ে দেন। হাসপাতালের ঔষধ রোগীদের মাঝে বন্টন না করে বিভিন্ন ভাবে খরচ দেখানো হয়। প্যাথলজিতে সেবা না দিয়ে বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে পাঠান হয়। হাসপাতালে নোংরা পরিবেশ বিরাজমান, খাবারের গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে। যে সকল ক্লিনিকে লাইসেন্স নেই সেগুলি বন্ধের দাবি করেন। সদর সহ সকল হাসপাতালে সেবার মান উন্নয়ন ব্যবস্থা করা সহ সাতক্ষীরার সকল হাসপাতালের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এসময় অন্যান্য মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক ডাঃ আবুল কালাম বাবলা, সহসভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, সহসভাপতি আব্দুর রব ওয়ার্ছি, সহ সভাপতি তৈয়েব হাসান বাবু, ফারহা দিবা খান সাথী, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ পাড়, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান রাসেল, মহিলা সম্পাদিকা মুর্শিদা আক্তার, যুগ্ম মহিলা সম্পাদিকা নাছিমা খাতুন, অফিস সম্পাদক শেখ সোহরাব হোসেন (বাবু), প্রচার সম্পাদক মো: আশরাফুল করিম ধনি। সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়াত নাগরিক কমিটির দাবিগুলো ধৈর্য্য সহকারে শোনেন এসময় তিনি বলেন, আপনাদের দাবি গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন দাবি বাস্তবায়ন হলে জেলা বাসী সঠিক স্বাস্থ্য সেবা পাবেন। তিনি আরো বলেন, সদর হাসপাতালে ৩০ জন চিকিৎসক পদ থাকলেও সেখানে আছে ১৩ জন। শুধু তাই নয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। চক্ষু, ইএনটি, সার্জারী সহ কয়েকটি বিভাগে দীর্ঘ দিন চিকিৎসক নেই। পরিচ্ছন্নতা কর্মী ৩৬ জনের স্থানে ৪ জন দিয়ে চলছে। হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট বিষয় বার বার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ লিখিত ভাবে জানানো হচ্ছে। সদর হাসপাতাল চিকিৎসক পদায়ন হলে এ ধরনের সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকলে জনসাধারন সহজে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহন করতে পারবে। তিনি নাগরিক কমিটির কার্যক্রমকে ধন্যবাদ জানান।