বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর আওতাধীন সাতক্ষীরা অর্থনৈতিক অঞ্চলের খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষার উপর মতবিনিময় কর্মশালা বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর উদ্দেশ্য হলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা, যা পরিকল্পিত শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করবে। অর্থনৈতিক অঞ্চল সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এর জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ১৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, খুলনা বিভাগের মোংলায় ২০৫ একর জমিতে পিপিপি ভিত্তিতে মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলায় প্রায় ২০০ একর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে ডিপিপি প্রস্তুত করা হয়েছে, কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলায় প্রায় ৪৩০ একর জমিতে একটি অথনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হয়েছে এবং খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলায় একটি অথনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন পলাশপোল মৌজায় ২৬২ একর জমিতে (১৯২ একর খাস ও ৭০ একর জমি ব্যক্তিমালিকানাধীন) অথনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা অথনৈতিক অঞ্চলটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে প্রায় ছয় হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হবে। খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ ফিরোজ শাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। স্বাগত বক্তৃতা করেন বেজার নির্বাহী সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আলী আহসান। কর্মশালায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক, কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন। কর্মশালায় খুলনা জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।-তথ্য বিবরণী