মীর আবু বকর ॥ সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র আলো ছড়ানো নামে পরিনত হয়েছে। জেলার সীমানা পেরিয়ে আত্মনির্ভরশীলতা, স্বালম্বীতা আর হাতে কলমে, প্রযুক্তিতে অলস কর্মির হাত সৌভাগ্যের প্রতিশ্র“তিতে পরিনত করার দ্রুতি ছড়াচ্ছে। বেকারত্বকে না বলার কার্যকর প্রতিষ্ঠানটি দক্ষ জনশক্তি গড়তে নিরলস ভাবে কাজ করছে। সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষন সংক্ষেপে (টিটিসি) নামে পরিচিত প্রতিষ্ঠান টি সাতক্ষীরা শহর হতে ছয় কিলোমিটার দুরে অত্যন্ত নিরিবিলি কর্মউদ্যোগী পরিবেশে ছয় বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। সুরম্য বিল্ডিং প্রতিটি বিভাগ পৃথিকিকরন। এই তো মাত্র কয়েক বছর পূর্বে ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক কর্মযজ্ঞের সূত্রপাত ঘটে। সময়ের ব্যবধানে, বাস্তবতার নিরিখে বেকার ও কারিগরি জ্ঞান লাভে আগ্রহীদের উপস্থিতি ও প্রয়োজনীয়তাকে সঙ্গী করে বর্তমানে সতেরটি কোর্স চলমান। একেক কোর্স ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে। টিটিসির অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান জানান, তিন মাস মেয়াদী কোর্স সমূহ কম্পিউটার অপারেশন, ইলেকট্রিক্যাল, গার্মেন্টস, অটো মোবাইল, ইলেকট্রনিক্স এন্ড মোবাইল সার্ভিসিং ও ওয়েল্ডেং সহ প্রতিষ্ঠানটি বিদেশগামী পুরুষ ও নারীদের বিশেষিত প্রার্ক বিহঃগমন প্রশিক্ষন ও হাউজ কিপিং চালু রেখেছে। ঝঊওচ আওতায় সম্পূর্ণ বিনা খরচে পাঁচটি কোর্সে প্রশিক্ষনার্থী হাতে কলমে প্রশিক্ষন নিয়ে কর্মসংস্থানের এবং প্রশিক্ষন শেষে প্রশিক্ষানার্থীদের যাতায়াত ও ভাতা ও পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে থাকে। ইংরেজি, কোরিয়ান ও জাপানিজ ভাষা শেখার কোর্স ও চালু রেখেছে টিটিসি। সাতক্ষীরার বাইশ লক্ষ মানুষের জন্য টিটিসি আর্শীবাদ স্বরুপ, ইতিপূর্বে উল্লেখিত কারিগরি শিক্ষা তথা প্রশিক্ষন গ্রহনে রাজধানী ঢাকাই ছিল শেষ। ঠিকানা কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে নিজ জেলাতেই বর্তমানে সেই অফুরন্ত সুযোগ, প্রশিক্ষনার্থীরা জানান বাড়ী থেকেই আমরা প্রশিক্ষন নিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে। অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান এর নেতৃত্বে অত্যন্ত সফল প্রতিষ্ঠানটি, তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্র“ত স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে আমরা কাজ করছি। তিনি আরও বলেন যে যার পছন্দনুযায়ী প্রশিক্ষন গ্রহন করতে পারেন। দিনে দিনে কারিগরি প্রশিক্ষনের যেমন গুরুত্ব বাড়ছে অনুরুপ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র বিস্তৃত হচ্ছে। সাতক্ষীরায় টিটিসির মত একটি প্রতিষ্ঠান যা সাতক্ষীরাকেই সমৃদ্ধ করেছে। অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের দক্ষততা এবং পরিকল্পনা ও বাস্তব মুখিতা প্রতিষ্ঠানটিকে বিশেষ ভাবে এগিয়ে নিচ্ছে। টিটিসির আলো ছড়ানো দ্রুতি ও সুনামের বিষয়ে অধ্যক্ষ বলেন আমার সহকর্মি সহ সংশ্লিষ্টদের প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় টিটিসি আজকের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে।