দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ গোয়ালভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ বাঙ্গালীরা চিরায়ত বৈশিষ্ট্য। কিন্তু সভ্যতা আর আধুনিকতার ক্রম বিকামে চাষাবাদে এসেছে পরিবর্তন সেই পরিবর্তনের ছোয়ার হালের (বলদ) গরুর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। গরুর দুধের যথাযথ স্থান করে নিয়ে প্রক্রিয়াজাতকরন প্যাকেট দুধ সেখারনে ও দুগ্ধ গরুর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করেছে। অবশ্য খামারী ব্যবস্থাপনায় দুগ্ধ গরুর অস্তিত্ব জানান দিলেও তাও ঘর দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ। দেশের অন্যান্য এলাকার ন্যায় সাতক্ষীরাতেও একদা মাঠে ঘাটে,বিলে, বাড়ীর উঠানে, সড়কে ব্যাপক গরুর উপস্থিতি দেখা যেত। কিন্তু তাতো ইতিহাস, সোনালী অতিত, সাতক্ষীরায় বিস্তীর্ণ ধানী জমি গত কয়েক দশক যাবৎ লবনাক্ত পানির চিংড়ী ঘেরের রুপ ধারন করায় কৃষি জমির সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে হ্রাস পেয়েছে তাই এই জেলায় খুব বেশি গরুর উপস্থিতি চোখে পড়ে না। আর পড়বেই বা কিভাবে, গরুর খাদ্যের উদমমাঠ, ফাকা বিল কই? এরই মধ্যে গতকাল দৃষ্টিপাতের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বিল থেকে উদর পূর্তিপূর্ণ করে ঘরে ফেরা গরুর দলের। এক ঝাক গরু রাখালদের উপস্থিতি পরিচযায় ঘরে ফিরছে। সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়কে বহেরা পুষ্পকাঠি সড়ক বেয়ে অন্তত শতাধীকগুর পালের ঘরে ফেরার দৃশ্য সোনারী অতীতকে স্বরন করিয়ে দিয়েছে। গোধুলী লগ্নে, অপরুপ সৌন্দর্যের গ্রাম বাংলার মেঠো পথ পেরিয়ে ধুলা উড়িয়ে গরুর দলের ঘরের ফেরার চিরায়ত দৃশ্য ছিল কেবল অভাবনীয় নয়, আশ্চার্যজনক ও বটে। এই প্রতিনিধি মোটরবাইক রেখে মুহুর্তের মধ্যে গরুর দলের ঘরে ফেরার দৃশ্যত ক্যামেরা বন্দী করে গ্রামবাংলার চিরচেনা অথচ (অতীত) এর কথা বাস্তবতায় আনায়ন করলেন। সাজ বেলায় গরুর পালের উদরপুর্তি করিয়ে গন্তব্যে পৌছানোর (ঘরে) সেই চিরপরিচিত মায়াবী দৃশ্য সাতক্ষীরায় অনুপস্থিত। অন্যান্য সময়ের জন্য হলেও গতকালের গরুর দলের সারিবদ্ধ ভাবে সব ধরনের হালের গরু, দুগ্ধ গরু,বাছুর এর উপস্থিতি কেবল নয়নাভিরাম ছিল তা নয় ছিল, চোখ জুড়ানো, ভুলানো, বারবার, প্রতিনিয়ত এই দৃশ্যত সাথ সম্পৃক্ত থাকুক এবং থাকবে এই জেলার জনসমাজ।