স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরার প্রবীণ সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় সাতক্ষীরা জেলা জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বেলা ১২টার দিকে সাতক্ষীরা জেলা জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন’র অস্থায়ী কার্যালয়ে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দৈনিক দৃষ্টিপাতের সম্পাদক ও প্রকাশক জি এম নুর ইসলামের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক কালের চিত্রের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। তিনি বলেন, মানুষ কর্মের মাধ্যমে চিরকাল বেচে থাকবে। তিনি সাতক্ষীরার সাংবাদিকদের বাতিঘর। তার হাত ধরে অনেকেই সাংবাদিকতায় সফলতা এনেছেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক জেলা পুলিশিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম বাবলা। তিনি বলেন, সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী ভালো সংবাদের মাধ্যমে সাতক্ষীরাকে আলোকিত করেছেন। তিনি যে সম্মাননা পেয়েছেন সেটি সাতক্ষীরাবাসীর জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। তার কর্মকান্ডকে ধারন করে তরুন সাংবাদিকদের এগিয়ে যেতে হবে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড.আবুল কালাম আজাদ বলেন, সুভাষ চৌধুরীর ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে আমাদের জেলার ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন। তিনি কখনো কাউকে ভয় করে সংবাদ প্রকাশ করেননি। তার একাধিক সংবাদ জেলার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলেও লেখনীর ক্ষেত্রে কোন দুর্বলতার ছাফ পড়েনি। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন বলেন, সুভাষ চৌধুরী কোন ঘটনার তথ্য পেলে বিস্তারিত লিখে ফেলতেন। ফিচার লেখার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। সাপ্তাহিক সূর্যের আলোর সম্পাদক ওয়ারেশ খাঁন চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সুভাষ চৌধুরীর লেখা বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ। তার লেখনীতে সর্বক্ষেত্রে সাতক্ষীরাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। সাপ্তাহিক মুক্ত স্বাধীন পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, সুভাষ চৌধুরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকেও নিউজের ক্ষেত্রে অত্যন্ত তৎপর ছিলেন। নিউজ যাতে বাদ না যাই সেজন্য তিনি অপারাপর সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ রেখেছিলেন। সাতক্ষীরা জেলা টিভি জার্নালিষ্ট’র আহবায়ক আবুল কাশেম বলেন এই গুনী সাংবাদিক হিসাবে তার বর্ননা শেষ করার নয়। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তিনি প্রচুর সময় ব্যয় করেন। কোন নিউজের ক্ষেত্রে তথ্য জানতে চাইলে তিনি সাথে সাথেই সরবরাহ করতেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি জিএম নূর ইসলাম বলেন, সুভাষ চৌধুরীর ধ্যান ধারনা সর্বদাই নিউজের মধ্যে থাকতেন। দুর্যোগকালীন সময়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে সত্য সংবাদ পরিবেশন করে গেছেন। তার রিপোর্টের মাধ্যমে সাতক্ষীরা চিত্র অতি সহজে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। একজন প্রতিথযশা সাংবাদিক হিসাবে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। তিনি যে বসুন্ধরা পুরুস্কার পেয়েছেন এটা শুধু একার নই এটি সকল সাংবাদিকদের সুনামের বিষয়। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সদস্য সৈয়দ রেজাউল করিম বাপ্পা, সদস্য শেখ ফারুক হোসেন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা জার্নালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম মহিদার রহমান। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতার বিভিন্ন স্মৃতি চারণ করে বক্তব্য রাখেন সংবর্ধিত অতিথি সুভাষ চৌধুরী বলেন, বসুন্ধরা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড আমি নই এটা সাতক্ষীরা সাংবাদিকদের প্রাপ্য। আমাকে যদি সাতক্ষীরা সাংবাদিকরা সহযোগিতা না করতেন তাহলে আমি এ এ্যাওয়ার্ড পেতাম না। এ এ্যাওয়ার্ডে যেটুকু সম্মান পেয়েছি সবটুকু আমি তাদের উপর দিয়ে দিলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তিলাওয়াত করেন হাফেজ মোঃ আবুল হোসেন। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আহসানুর রাজিব, দৈনিক কালের চিত্রের সহ সম্পাদক রবিউল আলম, সাতক্ষীরা জেলা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর কর্মকর্তা ও সদস্য যথাক্রমে মোঃ তৌফিকুজ্জামান লিটু, মাসুদুর জামান সুমন, মীর আবু বকর, মোঃ রমজান আলী, মোঃ রুবেল হোসেন, এ এস এম শাহনেওয়াজ মাহমুদ রনি, শেখ হাসান গফুর, শেখ রেজাউল ইসলাম বাবলু, মোঃ আমিরুল ইসলাম, সরদার জিলুর রহমান, মোঃ অহিদুজ্জামান, মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ, মোঃ বোরহান উদ্দীন বুলু, মোঃ মনিরুজ্জামান মনি, মোঃ কামাল উদ্দীন সরদার, মোঃ আব্দুস সালাম, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ জিয়াউর রহমান, জুলফিকার গাজী, মহিউদ্দীন আহমেদ, মোঃ নাজমুল হক, হাবিবুলাহ বাহার, আবু জাফর, গোলাম মোস্তফা, হাফিজুর রহমান শিমুল, ওমর ফারুক মুকুল, আবির হোসেন লিয়ন, শফিকুল ইসলাম, খান নাজমুল হুসাইন, সাবিনা ইয়াসমিন পলি প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক একেএম আনিছুর রহমান।