চীফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সাথে সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আজহারুল ইসলামের সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকালে সড়ক বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলীর রুমে জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নূর ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব ডা: আবুল কালাম বাবলা, সহ-সভাপতিদ্বয় অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, আব্দুর রব ওয়ার্ছি, ফারহা দিবা খান সাথী, সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান বাবু, যুগ্ম সম্পাদক ও প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান রাসেল, প্রচার সম্পাদক আশরাফুল করিম ধনি, পর্যটন বিষয়ক সম্পাদক নুরুল হক। জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি জিএম নূর ইসলাম ২৩ দফা দাবী তুলে ধরেন। দাবী সমূহ হল (১) প্রধান মন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী নাভারন থেকে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত রেল লাইন দ্রুত কার্যক্রম শুরু করার ব্যবস্থা করতে হবে। (২) যশোর নাভারন থেকে মুন্সীগঞ্জ এবং ভোমরা থেকে খুলনা পর্যন্ত ৪ লেন রাস্তা সহ জাতীয় সড়কে উন্নতি করা। (৩) সাতক্ষীরা রেঞ্জে সুন্দরবনকে পর্যটনদের জন্য দর্শনীয় স্থান চিহিৃত করা এবং পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য মোটেল নিশ্চিত করা (৪) সাতক্ষীরা ভোমরা স্থল বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসাবে ঘোষণা করা। (৫) সাতক্ষীরা একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম সহ প্রতিটি উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মান করা। (৬) সাতক্ষীরা একটি বিশ্ব বিদ্যালয় এবং একটি কৃষি কলেজ স্থাপন করা (৭) সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালটি জরুরী ভিত্তিতে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট বেড দ্রুত চালুর ব্যবস্থা করা (৮) খুলনা থেকে চুকনগর ভায়া সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মান করা (৯) সাতক্ষীরা জেলা এ গ্রেডের নির্মিত তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানাকে উপজেলা হিসাবে পাটকেলঘাটা থানাকে উপজেলা হিসাবে ঘোষনা করা (১০) সাতক্ষীরা জেলায় অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করা। (১১) সাতক্ষীরা জেলার দৃশ্যমান পয়েন্টে নির্মান ভাস্কর্য এবং সৌন্দর্যবর্ধন করা (১২) বিনেরপোতা থেকে আশাশুনি সড়ক রামচন্দ্ররপুর ও দহকুলা হয়ে বাকাল চেকপোষ্ট পর্যন্ত লিং রোড স্থাপন করা (১৩) ভোমরা পোর্টের জিরো পয়েন্টে গেট নির্মান ও সৌন্দর্যবর্ধন করা (১৪) সাতক্ষীরা পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশন ঘোষনা করা (১৫) প্রাণ সায়ের খাল খনন সহ দুই পার্শ্বে সৌন্দর্যবর্ধন এবং পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা। (১৬) সাতক্ষীরা জেলার সকল হাসপাতাল এবং কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা (১৭) সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালকে বাইপাস রাস্তার পার্শ্বে স্থানান্তর করা (১৮) বিসিক শিল্প নগরীকে স¤প্রসারন ও বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা। (১৯) শিশুদের বিনোদনের জন্য সাতক্ষীরার প্রতিটি উপজেলায় একটি শিশু পার্ক স্থাপন করা (২০) সাতক্ষীরায় প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবস্থা করা (২১) সাতক্ষীরায় একটি বিমান বন্দর নির্মানের ব্যবস্থা করা (২২) ভোমরা স্থল বন্দরে বন্দর থানা স্থাপনের ব্যবস্থা করা (২৩) সাতক্ষীরা পৌরসভার মধ্যে বাইপাস সংলগ্ন আর ও একটি সরকারী করবস্থানের ব্যবস্থা করা। এরপর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আজহারুল ইসলাম জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির দাবী ধৈর্য্য সহকারে শোনেন। তিনি বলেন, কমিটির দাবীগুলো যুক্তিসংগত। লাবনী থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা প্রি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। নিউমার্কেট থেকে রাস্তা আলীপুর চেকপোষ্ট পর্যন্ত সংস্কার হবে এবং আলিপুর থেকে ভেটখালি পর্যন্ত রাস্তা ২৪ ফুট হবে। খুলনা থেকে সাতক্ষীরা এবং নাভারন থেকে ভোমরা ৬ লেন রাস্তা একনেকে অনুমোদন হয়েছে। এটা জাইকার প্রজেক্ট। বিনেরপোতা থেকে রামচন্দ্রপুর লিংরোডের রাস্তার কাজ অচিরেই শুরু হবে। তিনি আরও বলেন নওয়াবেকী সেতু জাইকার সহযোগিতায় নিজস্ব গতিতে চলমান। ৩টা কারনে দু ঘন্টা কমবে। ড্রাইভার ও পথচারীদের সচেতন হতে হবে। ব্রেকার আলাদা করে দিতে হবে। বড় হাইওয়েতে রাস্তার পাশে দোকান বা বাড়ি ঘর রাখা ঠিক না এতে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। সর্বশেষে তিনি জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দদের ধন্যবাদ জানান।