শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩

মাছুদুর জামান সুমন/মীর আবু বকর \ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন। ২৫ মার্চ কালরাতে গণহত্যার পর বাঙ্গালীজাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষনা করেন। ঘোষনার পর বঙ্গবন্ধুকে আটক করে পাকিস্তানী সরকার। কিন্তু এদেশের মুক্তিকামী জনতার চাপে বঙ্গবন্ধুকে ছাড়তে বাধ্য হয়। এদিন ঘোষনা করা হয়েছিল একটি স্বাধীন বাংলাদেশের নাম। এদেশের ছাত্র, যুবক, শিক্ষক, চাকুরীজীবী, শ্রমিক সর্বপরি মুক্তিকামী জনতা যুদ্ধ করেছিল। বহু শহিদের রক্তের বিনিময় অর্জিত স্বাধীনতা, লাল সবুজের পতাকা, একটি স্বাধীন ভূ-খন্ড। মহান মুক্তিযুদ্ধ আত্মদান কারী সকল শহিদদের ভালবাসা ও শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করছে গোটা জাতি। মহান স্বাধীন ও জাতীয় দিবস সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন নানা আয়োজনে উদযাপন করছে। প্রত্যুষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল প্রতিষ্ঠান জাতীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, সকাল ৮টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জেলা প্রশাসক কর্তৃক আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদদের রুহের মাগফেরাতের জন্য মোনাজাত। পরে পুলিশ, আনসার, কারারক্ষী ও বিএনসিসি সহ বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে মার্চপাস্ট প্রদর্শন। একই সময়ে বেলুন ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে সকল কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এসময় তিনি জেলা বাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী হানাদার আমাদের নিরহ মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙ্গালী জাতি বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। আমাদের উপহার দিয়েছে একটি স্বাধীন দেশ। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিল একটি সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলতে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী দোষররা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। প্রধানমন্ত্রী দেশে পদ্মা সেতু উপহার দিয়েছেন। পায়রা সেতু, মেট্ররেল সহ অসংখ্য মহা সড়ক উদ্বোধন করেছেন। আমাদের মাথাপিছু আয় ও শিক্ষার হার বহুগুন বেড়েছে। জলবায়ূ পরিবর্তনের জন্য নেওয়া হয়েছে ডেল্টা প্লান। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলা হিসাবে গড়ে তুলা হবে। ইতিমধ্যে সেই লক্ষে কাজ শুরু হয়েগেছে। আসুন আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে এক সাথে কাজ করি। সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা ১ আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তোফা লুৎফুল­াহ, জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী, পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান (পিপিএম) সিভিল সার্জন ডা: মো: সবিজুর রহমান, চীফ জুডিশীয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: হুমায়ুন কবির, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারাফ হোসেন মশু, সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমান উল­াহ আল হাদী, অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মাশরুবা ফেরদাউস, কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তরের ডিডি ড. জামাল উদ্দিন, জেলা পরিবার পরিকল্পনা ডিডি দীপক কুমার সাহা, অতি: পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো: সজিব খান, অতি: জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী আরিফুর রহমান, অতি: জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মইনুল ইসলাম মইন, অতি: জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বিষ্ণপদ পাল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান, জেলা তথ্য অফিসার মো: জাহারুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক সমরেশ কুমার দাষ, প্রধান শিক্ষক এসএম আব্দুল­াহ আল মামুন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা গন, জেলা পুলিশের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান, আলোচনা সভা এবং ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com