মাছুদুর জামান সুমন/মীর আবু বকর \ পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালী সাংস্কৃতির ঐতিহ্য স্মরণ করার দিন। সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ঐ দিনকে বাংলা নববর্ষ বলে থাকেন। বাঙ্গালী জাতির জীবনে প্রাণ স্পর্শী দিনে কবির ভাষায় “মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা” পুরাত সকল দুঃখ বেদনা, সুখ সব কিছু পিছনে ফেলে আগামীর স্বপ্ন নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। প্রথম দিনে নতুন কেতন উড়িয়ে বৈশাখ দেবে ডাক পুরাত সব পিছে যাক, বৈশাখে সর্বোত্তই যেন নতুন আবহনে জেগে উঠেছে। পহেলা বৈশাখের সাথে মিশে আছে বাঙ্গালী সাংস্কৃতির ঐতিহ্য গান, বাজনা, নাট্য অনুষ্ঠান, নৃ সংগীত সহ বাঙ্গালীর চিরায়িত বাহারী সাজ সজ্জা। বৈশাখে ব্যবসায়ী হাল খাতার নতুন পৃষ্টা যুক্ত করে। নতুন রুপে ব্যবসা বাণিজ্য শুরু করে। ছয় ঋতুর বাংলাদেশ আবহাওয়ার পরিবর্তন ঋতুর পরিবর্তন ঘটলেও বৈশাখ তপ্ত রৌদ্রময় দিন নিয়ে আভিভূত হয়ে। কখন জানি কাল বৈশাখীর ঝড়ের চোখ রাঙানী দেখবে বাংলাদেশ। কি আর করার প্রাকৃতিক নিয়মকে সকলে মানতে হবে। বৈশাখ মাসে নতুন কিছু উপলব্ধি করা, বৈশাখে বাঙ্গালীর ঐতিহ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা সুর সঙ্গীতে সাথে নাট্য হারিয়ে যাওয়া একটি দিন। বৈশাখ কে নানান আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বরন করে পুরো জাতি। কিন্তু এবার পবিত্র মাহে রমজানের মধ্যে পড়ায় রমজানের সম্মান জানিয়ে। আচার অনুষ্ঠান অনেক টা চোট করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ভাবে এবার বৈশাখের নতুন সংকল্প আগামীতে সবাই বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন কবিতা, আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রা, বেলুন ফেস্টুন উড়ানো, পুরস্কার বিতরন সহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় জেলা কালেক্টরেট চত্ত¡র পার্কে বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে বৈশাখী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। পরে জেলা কালেক্টরেট চত্বর থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হামায়ুন কবিরের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে শেষ হয়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতি: পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ সজিব খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাশরুবা ফেরদাউস, সিভিল সার্জন ডা: সবিজুর রহমান, অতি: জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী আরিফুর রহমান, অতি: জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মইনুল ইসলাম মইন, অতি: জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বিষ্ণপদ পাল, অতি: পুলিশ সুপার মো: আতিকুল ইসলাম (ডিএসবি), অতি: পুলিশ সুপার ও (সদর সার্কেল) মীর আছাদুজ্জামান, কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তরের ডিডি সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসেন ইয়াসমিন করিমী, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের ডিডি শেখ মো: হাশেম আলী, সঙ্গীত শিল্পী আবু আফফান রোজ বাবু, সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান, জেলা তথ্য অফিসার মো: জাহারুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি হেনরি সরদার সহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।