গত ৮ ফেব্র“য়ারী স্থানীয় দুটি পত্রিকায় “সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ” শিরোনামে প্রেস বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে যে খবর ছাপানো হয়েছে, তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমি মোহাম্মাদ আলী সুজন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। প্রেসক্লাবের গঠনতান্ত্রিক বিধান অনুযায়ী আমাকে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহবানের কোন অনুরোধ সর্বশেষ নির্বাচিত কমিটির সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপির পক্ষ থেকে করা হয়নি। আমিও কার্যনির্বাহী কমিটির কোন সভা আহবান করিনি। সর্বশেষ নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ গত ২০২২ সালের ৭ মার্চ শেষ হয়েছে। ফলে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের ৫.২ এর (গ) ধারার বিধান অনুযায়ী উক্ত কমিটি বিলুপ্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ সভা আহবান করে প্রেসক্লাবের গঠনতান্ত্রিক সংকট নিরসনের সুযোগ ছিল। কিন্তু সর্বশেষ নির্বাচিত সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপি ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে পরিকল্পিত মামলা-মোকদ্দমা সৃষ্টি করেন এবং সাধারণ সভা আহবানে প্রতারণা ও বাধার সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে প্রেসক্লাবের ৫১ ভাগ সাধারণ সদস্যের যুক্ত স্বাক্ষর নিয়ে প্রয়াত সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী একটি সাধারণ সভা আহবান করেছিলেন। কিন্তু সংকট নিরসনের সে সুযোগও কাজে না লাগিয়ে মমতাজ আহমেদ বাপির সৃষ্ট এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে সুভাষ চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন এবং পরে মৃত্যুবরণ করেন। ফলে সংকট নিরসনে সাধারণ সদস্যদের সে উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। আর সেই ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে মমতাজ আহমেদ বাপি নিজের ইচ্ছা খেয়াল খুশিমত প্রেসক্লাব পরিচালনা করতে থাকেন। ফলে প্রেসক্লাব প্রায় সাংবাদিক শূন্য হয়ে পড়ে। এরপরও সংকট নিরসনে সাধারণ সভা আহবান না করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গত ৭ ফেব্র“য়ারী ২০২৩ তারিখে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে হাবিবুর রহমান এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসাবে আব্দুল জলিলকে দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে বলে প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উলেখ করা হয়েছে। যার কোন গঠনতান্ত্রিক ভিত্তি নেই এবং যার সাথে প্রেসক্লাবের সংখ্যাগরিস্ট সদস্যেরও কোন সম্পর্ক নেই। তাছাড়া গত বেশ কিছুদিন ধরে মমতাজ বাপির নেতৃত্বে কতিপয় প্রভাবশালী সাংবাদিক প্রেসক্লাবের পিকনিকের নামে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ সহায়তা গ্রহণ করেছেন বলে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। গত প্রায় দুই বছর ধরেই এ প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। কিন্তু বারবার অর্থ সংগ্রহ করা হলেও প্রেসক্লাবের কোন পিকনিক আজ পর্যন্ত করা হয়নি বা সে অর্থের কোন হিসাবও দেওয়া হয়নি। সর্বশেষ সভা দেখিয়ে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে মমতাজ আহমেদ বাপি ব্যক্তিগত সমস্য দেখিয়ে লিখিতভাবে দায়িত্ব পালনে অপরগতা প্রকাশ করে আবারো পিকনিকের কথা বলা হয়েছে। এটিকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সদস্যরা চাঁদাবাজির হাতবদল বলেও অভিহিত করেছেন। এসব ঘটনায় সাতক্ষীরার প্রশাসন, রাজনীতিবীদ, সুশীল সমাজসহ সাধারণ মানুষ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছে। আমি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে প্রেসক্লাবের স্ব-ঘোষিত কর্মকর্তাদের সাথে কোন যোগাযোগ না রাখার জন্য এবং পেশিশক্তিতে বলিয়ান এইসব ব্যক্তিবর্গ সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহবান জানাচ্ছি এবং প্রেসক্লাব থেকে পাঠানো ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রেসবিজ্ঞপ্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
স্বাক্ষর
মোহাম্মদ আলী সুজন
সর্বশেষ নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব