মীর আবু বকরঃ সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী মসজিদে কুবা ইসলামী সাংস্কৃতিক ও সেবা কেন্দ্র আযান প্রতিযোগিতা উদ্বোধন হয়েছে। শহরের মেহেদীবাগে গড়ে ওঠা শিল্পীর নিপুণ কারুকার্যে নয়া নাভিরাম দৃষ্টিনন্দন মসজিদে আজান প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে বেশ আগে থেকেই অংশগ্রহণকারীরা মসজিদে আসতে শুরু করে। নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ও তাদের শুভাকাঙ্খীদের উপস্থিতিতে পূর্ণতা পায় মসজিদে কুবা কমপ্লেক্স। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের উপস্থিতিতে প্রমাণ করে ধর্মীয় উৎসবের মিলনমেলার স্থান মসজিদে কুবা। চারিদিকে শুধু কোরআনের পাখিদের উচ্ছ¡াস। জেলা সহ পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আগত হাফেজ ওলামায়ে কেরামদের একে অপরের কুশল বিনিময়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। গতকাল সকাল ১০ টায় মসজিদে কুবা কমপ্লেক্সের প্রায়ত শেখ মশির আহমেদ-বিজলি আহমেদ ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং মসজিদে কুবা ইসলামী সাংস্কৃতিক সেবা কেন্দ্রের বাস্তবায়নে ৩ দিন ব্যাপী আজান ও ক্বেরাত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী দিনে দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক ও মসজিদে কুবার সভাপতি জিএম নুর ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিঃ জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ রেজা রশিদ। তিনি প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট ক্রিয়া সংগঠক ফিফা রেফারি তৈয়েব হাসান বাবু, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলহাজ্ব ডাঃ আবুল কালাম বাবলা, জেলা তথ্য অফিসার মোঃ জাহারুল ইসলাম, মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি সাইফুল ইসলাম, বক্তারা বলেন, মসজিদ শুধু নামাজ আদায়ের জন্য নয়। মসজিদকে ধর্মীয় গবেষণা সাংস্কৃতিক ও সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ইসলামের প্রাকযুগে মসজিদে নামাজ আদায়ের পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনার সিদ্ধান্ত এখানে গৃহীত হত। বিশ্ব মানবতার ইহাকলের মুক্তি পরকালের নাজাতের একমাত্র মাধ্যম ইসলাম। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ সেই বাণী বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। বক্তারা আরো বলেন, বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ দিন রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমে মহান আলাহর নৈকট লাভের চেষ্টা করেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধুর কণ্ঠে আজান শুনে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সেই নামাজ আদায় করে। আজান মুসলমানদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। মসজিদে কুবার প্রতিযোগিতা দৃষ্টান্ত একদিন জেলা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ছড়িয়ে পড়বে। এই প্রতিযোগিতার ধারণা থেকে কোমলমতি বিজয়ীরা হয়তো দেশ আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। ধর্মীয় চর্চা গবেষণা ও সেবার মাধ্যমে মসজিদে কুবা কমপ্লেক্স কেয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে আশা বক্তাদের। পরে একে একে সুশৃঙ্খলভাবে আজানের সুরল মধুর ধ্বনিতে মুখরিত করেন মুসলি সহ পুরো এলাকা। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত কারী বিশিষ্ট কারী পুরাতন কোর্ট জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ কারী শেখ ফিরোজ আহমেদ, হাফেজ মাওলানা মুফতি শফিউলাহ,এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মসজিদে কুবার উপদেষ্টা আব্দুল ওয়াদুদ, শহিদুল ইসলাম, কোষাধাক্ষ আব্দুল করিম, মোয়াজ্জিন ইমাম হোসেন, শফিকুল ইসলাম মোলা, গোলাম মোস্তফা, আবু জাফর সিদ্দিকী গোলাম রহমান, আনিসুর রহমান, শাহাদাত হোসেন সহ মসজিদের সকল মুসলী ও কমিটির নেতৃবৃন্দ। উলেখ্য আজান প্রতিযোগিতায় ১১৩ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে প্রথমে ১৩ জনকে বাছায় করা হয়। পরর্বীতে পুনরায় তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয় সেখানে ৩ জন কে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়। বাকী ১০ জন কে সম্মানিত করা হয়। আজ ক্বেরাত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদ।