দৃষ্টিপাত রিপোর্টার: বৃক্ষ জীবনের কথা বরে, ফুল সৌন্দর্য আর সুন্দরের আবহ সৃষ্টি করে, ফল,মুল, ঔষধি বনজ বৃক্ষ সবই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সেই সাথে মানব দেহের আর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় থাকে তৎপর। আর এ সবের অবাধ উপস্থিতি আর বিচরনের ক্ষেত্র নার্সারী। সাতক্ষীরা জেলা শহরের ইট পাথরের কনক্রীট এর মাঝে গড়ে উঠেছে নার্সারী। খুলনা রোড হয়ে হাসপাতাল সড়ক ধরের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নার্সারী জানান দিচ্ছে সেই সাথে জীবন জীবিকার উৎস্য হিসেবে নিজেদেরকে জাগ্রত রেখেছে। প্রতিদিনই ফলজ, বনজ, ঔষধী বৃক্ষের সন্ধানে সংগ্রহে আসছে বৃক্ষ প্রেমীরা, আবার সৌন্দর্য পিপাসুরা আসছে ফুল সংগ্রহে। ভালই চলছে নার্সারাী গুলো। শহরের সদর হাসপাতাল রোডের আল্লাহর দান নার্সারী প্রতিদিনই নানান ধরনের গছ গাছালির পরসা সাজিয়ে বিকির করে চলেছে। শহরের পুরাতন হাটখোলা এলাকার আঃ রশিদের পুত্র নাঈম হোসেনের তত্ত্ববধানে ও ব্যবস্থাপনায় আল্লার দান নার্সারীতে আনিত বৃক্ষের উপস্থিতি। এ প্রতিনিধি নার্সারীতে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে প্রত্যক্ষ করেন বৃক্ষ পুষ্পের সমাহার। নাঈম হোসেন জানান তার এই ব্যবসা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া, দাদা, পিতা তার পর তিনি। সামান্য পূজি আর কতক প্রকারের গাছ গাছালি নিয়ে যাত্রা শুরু আল্লার দান নার্সারীর। বর্তমানে জেলার অন্যতম বৃহদাকার নার্সারীতে পরিনত হওয়া নার্সারীটি যেন একটা সাজানো গোাছানো পরিপাটি, সবুজ শ্যামল এবং থোকা থোকা পুলের এক বৃহত্তম বাগান প্রতিটি গাছ যেন জীবনের অনুভূতিকে র্স্শ করছে হাইব্রিড নারিকেল গাছে ডাব ঝুলছে। বাতাবি লেবু, কাগুজে লেবু, কমলা লেবু, আঙ্গুর সবই ফলন ফলানো, হরেক রকম ফুল সহ গাছ শোভা বর্ধন করছে। দেশী ফরজ, বনজ ঔষধীর পাশাপাশি বারমাসি কাঠাল, বিভিন্ন ধরনের আম কলম, উন্নত জাতের শরফা, আলু ভোকরা, থাই সফেদা, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, ডেউয়া, ড্রাগন, বেরাকাটা, আতা, লিছু, অত্যন্ত পরিপাটি, ছিপছাপ মনোরম অন্যন্য সুন্দর নার্সারীতে প্রবেশ আর অবস্থান যেন বিশেষ অন্তঃরাত্মার সম্মোহনী সৃষ্টি হয়। অগনিত ক্রেতা আসছে, সেই সাথে সময় কাটাতে, প্রকৃতি আর সৌন্দর্যের কাছাকাছি আসতে অনেকে নার্সারীর অভ্যন্তরে হাটছে এ যেন এক মনোমগুদ্ধকর দৃশ্য। নার্সারী মারিক নাঈম হোসেন জানান নার্সারী ব্যবসা বারমাসই চলে, শীত মৌসুমে ফুল গাছ বেশী বিক্রি হয়। তবে ফুল গাছের পরিচর্যায় ঝক্কি ঝামেলা ও পরিশ্রম বেশী, কারন প্রতিনিয়ত পানি দিতে হয়। ফুল না থাকলে ক্রেতারা গাছ ক্রয় করে না, ফুল ঝরে গেলে পুনরায় গাছে ফুল ফোাতে সময়ের অপেক্ষা করতে হয়। দেশী বিদেশী নানান প্রজাতির ফুলের গাছ ও চাারা নার্সারীকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে। বিভিন্ন জাতের গোলাপ, রজনিগন্ধা, পিটুনিয়া, ইনকা,গাঁদা, মালাগাঁদা, চায়না টগর, কাঠ গোলাপ, থইজবা, চাযনা রঙ্গন, জুই, বেলী, কাশগাদা. পদ্ম, রাঁধাচুড়া, নয়নতারা, প্রর্ভতি, বর্ষা মৌসুমে ফরের ঔষধী ও মসলা জাতীয় গাাছ ও কলমের চাহিদা বেশী। বর্তমান সময়ে প্রতিযোগিতার কারনে মুনাফা যৎ সামান্য হয়। শ্রমক পরিচর্যা বিনিয়োগ সব মিলে নার্সারী ব্যবসাায় খরচ অপেক্ষা লাভ কম, তবুও প্রবৃতি, পরিবেশ, বৃক্ষ আর ফুল প্রেম সেই সাথে দাদা বাবার ঐতিহ্য ধরে রাখার প্রয়াসই এই ব্যবসা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টপ সমৃদ্ধ ফুল সহ ফুল গাছ এবঙ সৌন্দর্য বন্ধক পাতা বাহারি গাাছ ভাড়া দেওয়ার ও নেওয়ার সংস্কৃতি শুরু হওয়ায় নার্সারী ব্যবসায় কিছুটা হলে গতি সঞ্চার হয়েছে। এ ব্যবসায় কৃষি বিভাগ সহযোগিতায় এগিয়ে আসলে এবং ভূর্তুকি দিলে আরও ওঅনেক উচ্চতায় নেওয়া সম্ভব, বৃক্ষলতা পাতা ফুল আর ফুলের সৌন্দর্য হারিয়ে যাওয়া ঔষধী এবং মসলা বৃক্ষের পাশে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার প্রাণময় নার্সারী আরও আরও সৃষ্টি হোক প্রাণময়তা ছড়াক।