বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জয়নগরে মন্দির ভিত্তিক স্কুলের সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় শ্যামনগরে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির কর্মি টি এস অনুষ্ঠিত তালায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত সাতক্ষীরায় বিজয় দিবসে সদর উপজেলা বিএনপির র্যালি কলারোয়ায় টালি মালিক সমিতির নব—কমিটি গঠন সভাপতি গোষ্ট পাল ও সাধারণ সম্পাদক তুহিন সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব ও আশাশুনি থানার বিজয় দিবস প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ নুসরাতের নৃশংস হত্যাকারী জনির ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন আশাশুনি আশার উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

সাতক্ষীরা সাদামাছ উৎপাদনে বিপ্লব ঃ লাভবান চাষে ঝুকছে চাষীরা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ সাতক্ষীরায় চিংড়ী শিল্প এগিয়ে চলার এবং বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত এবং প্রতিষ্ঠিত হলেও সাম্প্রতিক বছর গুলোতে এই জেলা সাদা প্রজাতির মাছ উৎপাদনের মহাক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। জেলার জলাশয়, পুকুর সহ মিঠা পানির ঘেরগুলোতে সাদা প্রজাতির মাছ চাষ ও উৎপাদনের ব্যবস্থা থাকলেও গতকয়েক বছর যাবৎ লবনাক্ত চিংড়ীঘের গুলোতে সাদা প্রজাতির মাছ চাষ হচ্ছে এবং ব্যাপক ভিত্তিক উৎপাদন হচ্ছে। জেলার অর্থনীতিতে এই মাছ চাষের আর উৎপাদনের কল্যানে সুবাতাস বইছে। বিপুল পরিমান চাষামাছ চাষী ডিম ফুটানো হতে শুরু করে সর্বশেষ ধাপ উৎপাদন পরবর্তি বাজারজাত করন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট। বর্তমান সময় বর্ষার মৌসুম আর এই সময় গুলোতে চিংড়ী ঘের গুলোর লবনাক্ত পানি কিছুটা লবনমুক্ত হতে শুরু করেছে যা সাদা প্রজাতির মাছের জন্য এবং বিচরনের ও বেঁচে থাকবার সুযোগ সষ্টি করে। মাছ চাষীদের ভাষায় চিংড়ী ঘের গুলোতে বৃষ্টির পানির সংমিশ্রন ঘটলে পানি দুধ লবন হয় যা মিঠাপানির মতই উপযুক্ত পরিবেশের সৃষ্টি করে। গতকয়েকদিন যাবৎ ধারাবাহিক ভাবে বৃষ্টিপাতের কল্যানে ঘেরগুলোতে সাদামাছ অবমুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চাষীরা জানান অন্যান্য বছর গুলোর তুলনায় বর্তমান মৌসুমে বৃষ্টিপাত অনেকটা আগাম শুরু হওয়ায় মাছ অবমুক্ত করার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যশোর এলাকার নার্সারী গুলো হতে ইতিমধ্যে পিকআপ করে সাদামাছ আসছে। সাতক্ষীরার ঘের চাষীরা ভাল প্রজাতীর মাছ বাছাই এবং দরদাম করে ঘেরে অবমুক্ত শুরু করেছে। বর্তমানে রুই, কাতলা, মৃগেল, ট্যাবলেট, জাপানী পুটি, সিলবারকাপ সহ বিভিন্ন প্রজাতির চালাই মাছের উৎসবমুখর বাজার সৃষ্টি হয়েছে। যশোরের পাশাপাশি জেলার কলারোয়া উপজেলায় ব্যাপক পরিমান ডিম ফুটিয়ে সাদা মাছের রেুন উৎপাদন পরবর্তি তা চলাই করাহয়। কলারোয়ায় উৎপাদিত চালাই জেলার চিংড়ীঘের গুলোতে ব্যাপক ভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে। ৫টি ৬টি আবার ১০/১৫টি প্রতিকেজি চলাই ১০০ হতে ২০০ টাকা দরে বিক্রিহচ্ছে। ৪/৫ মাসের ব্যবধানে এ সকল চালাই কেজি কেজি হওয়ার আশা করছেন চাষীরা। কলারোয়ার পাশাপাশি সদর উপজেলা, দেবহাটা, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ এলাকাতেও চালাই উৎপাদন হচ্ছে। সাদামাছ চাষীরা একই মাছে তিনবার ব্যবসা করছেন এবং তা সাদা মাছ উৎপাদনে যেমন সহায়ক হচ্ছে অনুরুপ অর্থনীতিতে সুফল বয়ে আনছে। ডিম ফুটিয়ে রেনু ব্যবসা,রেনু চালাই করা এবং সর্বশেষ চালাই অবমুক্ত করে কেজি কেজি বা তার অপেক্ষা অধিক ওজনের মাছ উৎপাদনকরা। সাতক্ষীরায় উৎপাদিত সাদা প্রজাতির মাছ জেলার চাহিদা পুরনকরে রাজধানী ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন এলাকাতে যাচ্ছে। সাদা মাছ উৎপাদন খরচ এবং উৎপাদন পরবর্তি বিক্রিতে লাভবান হচ্ছে চাষীরা আর এ কারনে সাতক্ষীরায় ব্যাপক ভাবে সাদা মাছ চাষ ঝুকছে চাষীরা যা অর্থনীতির জন্য সুসংবাদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com