শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১২:২২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সাতক্ষীরায় ট্রাকের ধাক্কায় ১ ভ্যান চালকের করুন মৃত্যু সাতক্ষীরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা শ্যামনগরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত কদমতলা পি ডি কে মিতালী সংঘের উদ্যোগে তাফসিরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত আবারও ছড়িয়ে পড়েছে তাপদাহ ঃ আবহাওয়ার সুখবর নেই হামাসের হামলায় বার দখলদার সেনা নিহত ঃ আহত পঞ্চাশ খানপুর ছিদ্দিকীয়া এতিমখানা পরিদর্শন করলেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা প্রতাপনগরে ২ দিন ব্যাপী তাফসিরুল কুরআন মাহফিল বিষ্ণুপুর ২দিন ব্যাপি মাহফিল সম্পন্ন কবি মানিক ঘোষের পিতা-মাতার স্মারণে বিশেষ প্রার্থনা

সাধারন ইহুদীদের মাঝে হামাস আতঙ্ক

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৪

দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ আশঙ্কা করা হয়েছিলো যে, হামাস ইসরাইল যুদ্ধ বিস্তৃত হবে, গোটা মধ্যপ্রাচ্যময় ছড়িয়ে পড়বে, বিশ্বের দেশে দেশে এই যুদ্ধের ব্যাপকতা ঘটবে ও প্রভাবিত এবং ক্ষতির মুখে পড়বে। সত্যই গাজা যুদ্ধ গাজার সীমানা পেরিয়ে সাগরকে স্পর্শ করেছে। আর সাগর সম্পৃক্ততায় তার প্রভাব বলয়ে থাকছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব, গাজার ইসরাইলি হামলার প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছিল এবং হামলার বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে আসছিলো ইরান, হিজবুল্লাহ, তুরস্ক, ইয়েমেনের হুযি বিদ্রোহীরা। হুতি এবং হিজবুল্লাহ আরও অগ্রগামী হয়ে তাদের অবস্থান এভাবে পরিস্কার করে যে যতদিন পর্যন্ত ইসরাইল গাজায় হামলা পরিচালনা করবে এবং হামলা করে ফিলিস্তীনিদের গণহত্যা বন্ধ না করবে ততোদিন পর্যন্ত হুতিরা সাগরে ইসরাইল সহ ইসরাইল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা অব্যাহত রাখবে পাশাপাশি ইয়েমেন হতে ইসরাইলে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালাবে। হুতি তাদের কথা রেখেছে ক্ষেপনাস্ত্র হামলার পাশাপাশি লোহিত ও ভূমধ্যসাগরে ইসরাইল ও ইসরাইল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা অব্যহত রেখেছে। সাগরে হুতিদের অবস্থান নির্মূল করনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে দশ দেশ হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার পর ইয়েমেনে হুতি অবস্থানের উপর ব্যাপক ভিত্তিক ক্ষেপনাস্ত্র হামলা পরিচালনা করে কিন্তু কোন অবস্থাতেই সাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি জোট। অবশেষে গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হতে ঘোষনা করা হয়েছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় সর্বপরি লোহিত সাগরে চলাচল করা জাহাজ গুলোর রুট পরিবর্তন করার। অর্থাৎ হুতিদের নির্মূল করতে না পারার কথাটি প্রকারন্তে স্বীকার করলে জোটভূক্ত দেশগুলো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশনায় বলা হয়েছে পরবর্তি নির্দেশনা দেওয়া পর্যন্ত লোহিত সাগরের দক্ষিন এলাকা এড়িয়ে চলবে মার্কিন পতাকাবাহী জাহাজ গুলো। এদিকে গতকাল দিন ও রাতব্যাপী হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলের ভূ-খন্ডে ব্যাপক রকেট হামলা চালিয়েছে। পশ্চিমা মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে গাজা থেকে হামাস যোদ্ধারা যখন রকেট হামলা শুরু করে তখন ইসরাইলের সীমান্ত গ্রাম গুলো হতে শুরু করে রাজধানী তেল আবিরেও ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ হতে সাইরেন বাজানো হয়। ইসরাইলের নেটিভোট শহরে হামাসের রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে সর্বাধিক। ইসরাইলের রকেট প্রতিরোধক আয়রন ডোম হামাসের রকেট কে প্রতিরোধ করতে পারেনি। এদিকে সৌদি আরবের পক্ষ হতে গতকাল প্রকাশ্য বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, আল জাজিরায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে সৌদি আরব ইসরাইলকে অবিলম্বে হামলা বন্ধের আহবান জানিয়ে বলেছে ফিলিস্তীনি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইল স্বীকৃতি বা ঘোষনা দিলেই কেবলমাত্র সৌদি আরব ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে। বর্তমান গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের এই বিবৃতি ফিলিস্তিনীদেরকে উজ্জীবিত করবে। গাজার উত্তরাঞ্চলে গতকাল ও ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলা পরিচালনা করেছে। মুহুর মুহুর বিমান হামলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বসতবাড়ী ধ্বংস হয় এবং শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে গাজায় বন্দী ইসরাইলিদের মাঝে ঔষধ প্রেরনের একটি সমঝোতা হয়েছে বলে গতকাল ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা হামাস ও কাতারের মধ্যে আলোচনা পরবর্তি হামাস এবং ইসরাইল উভয়পক্ষই এমন সমঝোতায় পৌছেছে। ঘোষনায় বলা হয়েছে গাজায় পনবন্দীদের জন্য ফ্রান্স হতে ঔষধ সংগ্রহ করে তা কাতারের বিমান বাহিনীর সহায়তায় গাজায় হামাসের মাধ্যমে ইসরাইলি বন্দীদের হাতে উক্ত ঔষধ পৌছানো হবে। হামাসের এই উদারতাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হতে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। অবশ্য সমঝোতায় গাজার উত্তর ও মধ্য অঞ্চলের মানবিক বিপর্যয়ের শিকার ও অসুস্থ ফিলিস্তীনিদের জন্য ও ফ্রান্স হতে ঔষুধ ক্রয় করে একই বিমানে আনা হবে। ইসরাইলের দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সরকারের পন বন্দীদের মুক্ত করনে ব্যর্থ হওয়ায় বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। একদিকে ইসরাইলের অভ্যন্তরে একদিকে চলছে সজনদের উদ্ধারের দাবীতে বিক্ষোভ অন্যদিকে সাধারন ইহুদীদের মাঝে হামাস আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকের মাঝে এমন শঙ্কা ও উদ্বেগ কাজ করছে যে কোন সময়ে আবারও হামাস দ্বারা তারা হামলার শিকার হতে পারে। ইতিমধ্যে বহু সংখ্যক ইহুদী ইসরাইল ত্যাগ করে অন্যত্র চলে গেছে। এদিকে ইসরাইল হিজবুল্লাহকে হুমকি দিয়ে ঘোষনা দিয়েছে হিজবুল্লাহ যদি ইসরাইল মুখি গোলাও রকেট নিক্ষেপ অব্যাহত রাখে তাহলে যে কোন মুহুর্তে ইসরাইল লেবাননে হামলা চালাবে, প্রয়োজনে আজ রাতেই লেবাননে হামলার জন্য প্রস্তুত ইসরাইল। এদিকে ইরান কর্তৃক মোসাদের ঘাঁটিতে হামলার প্রতিশোধ গ্রহনের হুশিয়ারী উচ্চারন করে ইসরাইল বলেছে ইরানকে ছাড় দেওয়া হবে না। এদিকে গতকাল ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরাইলে ব্যাপক ভাবে হামলা চালালে দেশটির লেবানন সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো হতে অধিবাসিদের সরিয়ে নিয়েছে। গাজার হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় অসুস্থ ও ইসরাইলের হামলায় আহত ফিলিস্তীনিদের চিকিৎসা গ্রহন করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে গাজার শরনার্থী শিবিরগুলোতে বিশেষ করে আল জাবিলিয়া আশ্রয় শিবিরে নানান ধরনের সংক্রমন রোগ ছড়িয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগ ও মানবেতর জীবন যাপনে পৌছেছে গাজাবাসি। প্রতিদিনই গাজার প্রায় অর্ধেক অধিবাসি ক্ষুধার্থ থাকছে। মিশর সীমান্ত দিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় ত্রান সহায়তা প্রবেশ করছে না, খাদ্যের পাশাপাশি গাজার সর্বত্র সুপেয় পানির অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com