স্টাফ রিপোর্টার \ সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের বাংলাদেশ দলের অন্যতম কারিগর অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও ডিফেন্ডার মাসুরা পারভিনের বাড়িতে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ হুমায়ুন কবির। তিনি খেলোয়াড়দের পরিবারের শুভেচ্ছা জানান এবং খোঁজখবর নেন। এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, সাবিনা ও মাসুরা সাতক্ষীরায় ফিরলে আড়ম্বরপূর্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হবে। তাঁরা দেশকে সম্মানিত করেছেন। জেলা প্রশাসনও তাঁদের সম্মান জানাতে চায়। এ জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসককে কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হন পরিবারটি দুটি। সাতক্ষীরার সোনার মেয়ে সাবিনা, মাসুরা সাতক্ষীরাকে কেবল জাতীয় ভাবে নয় আন্তর্জাতিক বিশ্বে আলোকিত করেছে। গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জেলা প্রশাসক প্রথমে মাসুরাদের বাড়িতে যান। মাসুরার বাড়ি জেলার বিনেরপোতার বেদনা নদীর পাড়ে। এ সময় মাসুরার পরিবারের সদস্যরা বলেন, সড়কের দুই ধারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য লাল চিহ্ন এঁকে দিয়ে যায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ওই চিহ্ন দেওয়া হয়েছে মাসুরা পারভিনের সদ্য নির্মিত বাড়ির দেয়ালেও। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা। জেলা প্রশাসক হুমায়ূন কবির বলেন, মাসুরাদের বাড়ি এখন ভাঙা হবে না। তাঁদের সরকারিভাবে দেওয়া নিচু জমি ভরাট করে বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মাসুরাদের এ বাড়ি উচ্ছেদ করা হবে কি না। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা তুজ জোহরা, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাতক্ষীরার সহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউদ্দিন ও লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল আলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসকের কথা শুনে মাসুরাদের বাড়ির দেয়ালের লাল চিহ্ন মুছে দেন লাবসা ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল আলিম। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের মাসুরা পারভিনের বাড়ির দেয়ালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ অবৈধ দখল উচ্ছেদের লাল চিহ্ন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে মুছে দেওয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসক ও ইউএনও মাসুরার বাবা মো. রজব আলী, মা ফাতেমা বেগম ও বোন সুরাইয়া ইয়াসমিনের হাতে ফুলের তোড়া ও মিষ্টি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে সকাল সাড়ে ১০টা দিকে জেলা প্রশাসক ও ইউএনও হাজির হন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনাদের সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের সবুজবাগের বাড়িতে। সেখানে সাবিনার মা মমতাজ বেগম ও বড় বোন সালমা খাতুনের হাতে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। জেলা প্রশাসক তাঁদের পরিবার সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এ সময় সাবিনার বড় বোন জেলা প্রশাসকের কাছে তাঁর বেকার দুই বোনের চাকরির জন্য বলেন। জেলা প্রশাসক বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে জানান। এর পূর্বে জেলা প্রশাসকের আগমনের খবরে বিনেরপোতা ও শহরের পলাশপোলের দুই সোনার মেয়ের বাড়ী সহ আশপাশে লোকজন ভরে যায়। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশ্যে বলেন সাতক্ষীরার সন্তান মাসুরা ও সাবিনা দেশের সম্মান বয়ে এনেছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে তিনি পরিবার দুটির সদস্যদের সর্বাত্মক ভাবে সহযোগিতা করবেন বলে জানান।