স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এন্ডোস্কপিক মেশিনের সফল অপারেশনের মাধ্যমে ১৪৭টি পাথর বের করতে সক্ষম হয়েছেন। গতকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সামেকের আবাসিক সার্জন ও ইউরোলজিষ্ট বিভাগের ডাঃ রাশিদুজ্জামানের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম। জানাগেছে, ঝিনাইদহা পৌরসভার আরাপপুর গ্রামের বাসিন্দা সেকেন্দার আলীর পুত্র মো: আব্দুল মান্নান স¤প্রতি সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সিএআরএম নামক এক্সরে মেশিনের সাহায্যে তার কিডনীর পাথর সনাক্ত করা হয়। গতকাল সকালে ইউরোলজিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা: মোজাম্মেল হকের উপস্থিতিতে সামেকের আবাসিক সার্জন (সার্জারী) ও ইউরোলজিষ্ট বিভাগের ডা: রাশিদুজ্জামান পেটনা কেটে পিঠের পিছনে ছোট একটি ছিদ্র করে পিসিএনএল কিডনী পাথর এন্ডোস্কপিক পদ্ধতিতে পাথর অপারেশন করা হয়। এ সময় একে একে মেশিনের সাহায্যে ১৪৭টি পাথর বের করা হয়। সাধারনত অধিক সংখ্যক পাথর এক কিডনীতে থাকা একটা বিরল দৃষ্টান্ত। খোজখবর নিয়ে জানাগেছে খুলনা বিভাগের মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিকেলে ছাড়া এই পদ্ধতিতে অপারেশন আর কোন সরকারী হাসপাতালে করা হয় না। এই অপারেশনের সময় উপস্থিত ছিলেন সামেকের সহকারী সার্জন ডা: আবুবকর মামুন শরীফ, এনেসথেসিয়া ডা: আশরাফুল ইসলাম, এসিসট্যান্ট মোকলেস, সঞ্জয়, কাদের। এ বিষয়ে সামেকের আবাসিক সার্জন (সার্জারী) ও ইউরোলজিষ্ট ডা: রাশিদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে দৃষ্টিপাত কে জানান, এটা একটা বড় ধরনের অপারেশন। এই অপারেশন পদ্মার এপারে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ছাড়া অন্য কোথাও করা হয় না। শুধু তাই নয় সামেকে এই ধরনের বড় অপারেশন করা হচ্ছে। এই অপারেশন করতে পেরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ একটা বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।