এফএনএস স্পোর্টস: শুরুর ম্যাচে স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। এএইচএফ কাপে দ্বিতীয় ম্যাচেও নিজেদের দাপট দেখিয়েছে গোপিনাথন কৃষ্ণমূর্তির দল। সোমবার সিঙ্গাপুরকে উড়িয়ে দিয়েছে ৭-০ গোলে। এই জয়ে শেষ চারের পথ অনেকটাই সুগম হলো। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার জিবিকে হকি ফিল্ডে একচেটিয়া খেলেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে সেভাবে কোনও সুযোগই দেয়নি। র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে একের পর এক আক্রমণ হেনেছে জিমি-শিতুলরা। প্রথম কোয়ার্টারে দুটি গোল এসেছে। দ্বিতীয় পেনাল্টি কর্নার থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। ম্যাচ ঘড়ির ৫ মিনিটে পুষ্কর খীসা মিমোর পুশে সারোয়ারের থামানো বলে আশরাফুল ইসলাম দারুণ হিটে দৃষ্টিনন্দন গোল করেন। ১৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। মিমোর পাসে সোহানুর রহমান সবুজ জোরালো হিটে জাল কাঁপান। ২৭ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ হয়। পুষ্কর খীসা মিমোর পাসে গোলকিপারের পায়ের ফাঁক দিয়ে পোস্টে বল জড়িয়ে দেন সবুজ। তৃতীয় কোয়ার্টারে সিঙ্গাপুর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তাই এই অর্ধে কোনও গোল আসেনি। চতুর্থ কোয়ার্টারে বাংলাদেশ আবারও আগের চেহারাতে ফিরে। এই অর্ধে এসেছে চারটি গোল! শুরুতে বাংলাদেশ চতুর্থ গোলটি পায়। ৪৬ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে বল ঘুরে আসে আরশাদ হোসেনের কাছে। আলতো টোকায় পোস্টে জড়িয়ে দিতে ভুল করেননি এই ফরোয়ার্ড। ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে খোরশেদুর রহমান দলের হয়ে পঞ্চম গোল করেন। ৫ মিনিট পর সোহানুর রহমান সবুজ ফিল্ড গোল পান। শেষ মিনিটে পুষ্কর খীসা মিমো শেষ গোলটি করে সিঙ্গাপুরের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন। বাংলাদেশ বি গ্র“পে তৃতীয় ম্যাচ খেলবে আগামীকাল মঙ্গলবার ইরানের বিপক্ষে। ১৭ মার্চ গ্র“পের শেষ ম্যাচে ওমানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ১৯ মার্চ সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল হবে ২০ মার্চ। এই টুর্নামেন্টের শীর্ষ তিনটি দল সরাসরি খেলবে এশিয়া কাপে।