দৃষ্টিপাত ডেস্ক \ দীর্ঘ অপেক্ষার পর নির্যাতন, নিপিড়ন, অগনতান্ত্রিক পন্থার অবসান ঘটিয়ে বর্তমানে গণতন্ত্রের আবহে দেশ। আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। ছাত্রজনতার সফল অভ্যুন্থানের সফল যেমন এই সরকার, অনুরূপ নিপিড়ক ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন। শত শত শহিদের রক্ত এই সরকারকে দেশ পরিচালনার ম্যান্ডেট যেমন দিয়েছে অনুরূপ শক্তি, সক্ষমতা এবং সামার্থের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করেছে। এই মুহূর্তে যে বিষয়টি সর্বাপেক্ষা বড় বিষয় তা হলো সরকারের যন্ত্রগুলো অর্থাৎ শাখা প্রশাখাকে অতি গতিশীল এবং কর্মস্পৃহায় সম্পৃক্ত হতে হবে। যেহেতু দল নিরপেক্ষ, কোন রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তিকে এই সরকারের পরোয়া করার সুযোগ নেই, বিধায় অতি দ্রুততার সাথে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, অধিদপ্তরের কর্মতৎপরতা বিস্তৃত করার বিকল্প নেই। সিদ্ধান্তহীনতা এবং অহেতুক কালক্ষেপন করলে পরাজিত শক্তি সুযোগ নেবে। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রীর পতনের পর থেকে জাতি দৃশ্যত: ঐক্যবদ্ধ বিধায় ধরেই নেওয়া যায় এই সরকার জাতীয় ঐক্যের সৃষ্টিতে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। চলিশটির অধিক মন্ত্রণালয় অগনিত অধিদপ্তরসহ বহুবিধ সংস্থা দেশ পরিচালনার সাথে সংশিষ্ট অন্যদিকে গত পনের বছর যাবৎ সকারে যেমন বিনাভোটের এমপি, মন্ত্রীদের অবস্থান ছিল অনুরূপভাবে সরকারের ইচ্ছায়, পছন্দে সরকারি চাকুরীজীবীদের উলেখযোগ্য অংশ নিয়োগ পেয়েছে। সর্বাপেক্ষা বড় বিষয় হলো আমলাদের সিংহভাগ ফ্যাসিস্ট সরকারের মনোনীত অথবা নিয়োগকৃত। সচিবালয় হতে, বিভাগ এবং জেলাগুলোতে তাদের অবস্থান অস্বীকার করার সুযোগ নেই। সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা ভূমিকা পালনকারী আমলারা এখনও যে ফ্যাসিস্ট এর পক্ষের শক্তি নয় এমনটি কি বলার সুযোগ আছে। অতি স¤প্রতি সচিবালয়ের অগ্নীকান্ড সরকারকে নিশ্চই অনেক কিছুই অবগত করেছে। সুরক্ষিত এবং প্রশাসন ব্যবহারকেন্দ্রস্থলে (সচিবালয়ে) আগুন ধরার বিষয়টি কেবল স্পর্শকাতর নয় দৃশ্যত রিতীমত উদ্বেগ এবং অজানা শঙ্কা তৈরী করেছে। নাশকতা না কি দূর্ঘটনা তা তদন্ত কমিটিই বলবেন। সরকার অর্থ জনগণের পরিচালনার, রাষ্ট্র পরিচালনার বৃহত্তম সংগঠন। কিন্তু অনধিক বিশ জন উপদেষ্টা নিয়ে চলছে সরকার। একাধিক মন্ত্রণালয়ের ভার এবং কাজ একজন উপদেষ্টাকেই গ্রহণ করতে হচ্ছে যে কারণে কাজের গতি স্বাভাবিকের অপেক্ষায় পিছিয়ে পড়ার ক্ষেত্রই তৈরী করবে। সরকার পরিচালনায় প্রয়োজনে বিষয় বিশেষজ্ঞ এবং দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিদেরকে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। বর্তমান সরকারকে শুধু দাপ্তরিক, রাষ্ট্র পরিচালনা বা সংস্কারের কাজ করতে হচ্ছে তা নয় একই সাথে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চক্রান্ত, দেশি বিদেশী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হচ্ছে। পরাজিত শক্তির চক্রান্ত সম্পর্কেও সতর্ক থাকার বিকল্প নেই কয়েকদিন পূর্বে ভূমি ও বিমান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ্যাড: হাসান আরিফের মৃত্যুতে উক্ত দুই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পদ শুন্য। উপদেষ্টার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে কাজের গতিশীলতা যেমন অগ্রগামী হবে অনুরূপভাবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বা মামলা নির্ভরতা হ্রাস পাবে এমনটি মনে করেন প্রশাসন ব্যবস্থার সাথে সংশিষ্টরা। সিদ্ধান্ত গ্রহণে এবং কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গতিশীলতাই সরকারকে অনেক উচ্চতায় নেবে সেই সাথে সফলতায় পৌছেবে।