এফএনএস স্পোর্টস: দুই ব্যাটার জনি বেয়ারস্টো ও হ্যারি ব্রæকের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরির পর অভিষিক্ত পেসার গাস অ্যাটকিনসনের বোলিং নৈপুন্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডাবল লিড নিলো স্বাগতিক ইংল্যান্ড। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে গতরাতে বিশ^ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ৯৫ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। রান বিবেচনায় সংক্ষিপ্ত ভার্সনে কিউইদের বিপক্ষে এটিই সবচেয়ে বড় জয় ইংলিশদের। এই জয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচ ৭ উইকেটে জিতেছিলো জশ বাটলারের দল। ম্যানচেষ্টারে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার উইল জ্যাকস-বেয়ারস্টো ৩৩ বলে ৪০ রান করেন। ১১ বলে ১৯ রান করে ফিরেন জ্যাকস। তিন নম্বরে নেমে খালি হাতে ফিরেন ডেভিড মালান। ৪৩ রানে ২ উইকেট পতনের পর জুটি বাঁধেন বেয়ারস্টো ও ব্রæক। নিউজিল্যান্ডের বোলাদের ঝড় তুলে ৬৫ বল খেলে ১৩১ রান যোগ করেন বেয়ারস্টো-ব্রæক জুটি। ৪০ বলে টি-টোয়েন্টিতে নবম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ন করেন বেয়ারস্টো। ৩০ বলে সংক্ষিপ্ত সংস্করনে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি করেন ব্রæক। ১৮তম ওভারে ব্রæককে থামিয়ে জুটি ভাঙ্গেন নিউজিল্যান্ড স্পিনার ইশ সোধি। ৫টি করে চার-ছক্কায় ৬৭ রান করেন ব্রæক। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে ইংল্যান্ডকে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯৮ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন বেয়ারস্টো। ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬০ বলে অপরাজিত ৮৬ রান করেন বেয়ারস্টো। নিউজিল্যান্ডের সোধি ২ উইকেট নেন। জবাবে ৮ রানের মধ্যে ২ ওপেনারকে হারায় নিউজিল্যান্ড। শুরুর ধাক্কা সামলে উঠলেও বড় জুটি বা বড় ইনিংস খেলতে পারেনি মিডল অর্ডারের ব্যাটার। ইংল্যান্ড বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে শেষ পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫ ওভারে ১০৩ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে টিম সেইফার্ট ৩৯, গেøন ফিলিপস ২২ ও মার্ক চাপম্যান ১৫ রান করেন। আর কোন ব্যাটাররাই দু’অংকে পা রাখতে পারেনি। ইংল্যান্ডের অ্যাটকিনসন ২ দশমিক পাঁচ ওভারে ২০ রানে ৪ উইকেট নেন। টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের পক্ষে অভিষেকেই সেরা বোলিং ফিগারের নজির গড়লেন অ্যাটকিনসন। ম্যাচ সেরা হন বেয়ারস্টো। আজ রোববার বার্মিংহামে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খেলবে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।