এফএনএস: বাংলাদেশের সীমান্তে মিয়ানমারকে গোলাগুলি বন্ধের জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, আমাদের সরকার সে সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। কাজেই সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধ করুন। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি আমরা। বাঙালি জানে কীভাবে তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হয়। আপনাদের মগের মুলুকের সমস্যা আপনারা মগের মুলুকেই সমাধান করুন। আমরা ভদ্রতা ও বিনয়ের সঙ্গে বলছি; এটিকে আমাদের দুর্বলতা ভাববেন না। আমাদের ভদ্রতা ও বিনয়কে আপনারা সম্মান করতে শিখুন। নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিজেরা সমাধান করুন। আপনাদের সমস্যা যেন আমাদের কাঁধে না পড়ে সে বিষয়ে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই। গতকাল রোববার বিকালে কক্সবাজারের টেকনাফ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, আপনাদের (মিয়ানমারের) সব সমস্যা কেন আমাদের কাঁধে এসে পড়ে। কেন আপনাদের সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে আমাদের? আপনাদের গুলি কেন আমাদের ভ‚মিতে এসে পড়বে। সীমান্তে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আমরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবো, আপনারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এখানের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেখানের মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রতিবেশী ভারতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আজ ভারতে কিছু হলে আমাদের দেশ শান্তিতে থাকবে না। আবার আমাদের দেশে কিছু হলে ভারত শান্তিতে থাকবে না। কোনও না কোনও সমস্যা সৃষ্টি হলে প্রতিবেশী সবগুলো দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটি আপনাদের বুঝতে হবে। তিনি বলেন, দেশে বিএনপি-জামায়াত একটি অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। কারণ তারা দেশপ্রেমহীন। আওয়ামী লীগ হচ্ছে মানবিক ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত একটি দল। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সবাইকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছায়াতলে এসে একযোগে কাজ করতে হবে। এজন্য দলীয় নেতাকর্মীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাস্টার জাহেদ হোসেনের পরিচালনায় এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশরের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেনÑআওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উলাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান ও সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি প্রমুখ। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশরকে সভাপতি এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদকে সাধারণ সম্পাদককে করা হয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছিল। ৯ বছর পর আবারও সম্মেলন হলো।