এফএনএস স্পোর্টস: বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনী করে জিম্বাবুয়ের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খুঁইয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে এই সিরিজ খেলেছে তাদের সেরা দুই পেসার টেন্ডাই চাটারা ও ব্লেসিং মুজারাবানিকে ছাড়া। তারপরও মঙ্গলবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৫৬ রান চেজ করতে পারেনি বাংলাদেশ। উইকেটও ছিল ব্যাটিং সহায়ক। একদশে ছিলেন সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউলাহ। কিন্তু কেউই কিছু করতে পারেননি। শিশুতোষ ব্যাটিং করে উইকেট বিসর্জন দিয়েছেন। সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রামে পাঠিয়ে তরুণদের দিয়ে গঠন করা হয়েছিল জিম্বাবুয়ে সফরের এই দল। নেতৃত্বে ছিলেন নুরুল হাসান সোহান। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি চোটে পড়লে শেষ ম্যাচে নেতৃত্ব দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তারুণ্য নির্ভর এই দলটি কেমন পারফর্ম করবে- তা নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল না বিসিবির। বরং স্বাধীনতা দেওয়ার কথা বলেছিলেন ‘টিম ডিরেক্টর’ খালেদ মাহমুদ সুজন। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে এমন বাজেভাবে ১০ রানের পরাজয়ের পর তিনি এখন হতাশ। গত ২৫ জুলাই রাজধানীতে সাংবাদিকদের খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছিলেন, ‘একটাই মাত্র ফরম্যাট যেখানে নতুন কাউকে দেখতে পারি, সেটা হলো টি-টোয়েন্টি। সত্িয বলতে জিম্বাবুয়েতে যদি আমরা ৩-০ ব্যবধানে হেরে যাই তবুও আমি বিন্দুমাত্র আপসেট হবো না। কারণ, আমি এই চাপ ওদের দিতেই চাই না। আমি চাই ওরা স্বাধীনতা নিয়ে খেলুক, স্বাধীনভাবে খেলুক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আমরা টি-টোয়েন্টির মতো খেলতে পারি কি না, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ‘অথচ, টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর একরাশ হতাশা ঝরে পড়ল খালেদ মাহমুদ সুজনের কণ্ঠে। হারারেতে ওয়ানডে দলের অনুশীলনের মাঝে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি খুব হতাশ। আমরা বারবার বলি ভুল থেকে শিক্ষা নিতে। কিন্তু আমরা কবে সে শিক্ষাটা নেব? আমি পুরোপুরি ক্রিকেটারদের দোষ দেব। তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমস্যা ছিল। ‘ খালেদ মাহমুদ এমনিতেই ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ। তার হতাশ হওয়ার কারণটা কি একজন সিনিয়র থাকা সত্তে¡ও শেষ ম্যাচে দলের বাজে পারফর্মেন্স?