এফএনএস: সুনামগঞ্জ ও সিলেটে এবারের বন্যায় এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেছেন, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও সুনামগঞ্জের অবস্থা একই রকম রয়েছে, দশ জেলার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দেশে প্লাবিত ১২ জেলার মধ্যে ৭০টি উপজেলার ৪০ লাখ পানিবন্দি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে উদ্ধার তৎপরতা চলছে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। গতকাল রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনামুর রহমান। তিনি বলেন, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে ভাটির দিকে দক্ষিণাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জ ও সিলেটে বন্যায় যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী, সে পানির টানে ভেসে গেছে। আরেকজন বয়স্ক ব্যক্তি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন। তবে তাদের নাম-পরিচয় বিস্তারিতভাবে জানাননি এনামুর রহমান। তিনি বলেন, “সুনামগঞ্জে ৭৫ হাজার এবং সিলেটের ৩০ হাজারের বেশি মানুষ আছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। একই সাথে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলায় বন্যার্তদের জন্য সরকার এ পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা করে মোট দুই কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। নতুন করে রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, জামালপুর, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ ১০টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সেসব জেলায় ১০ লাখ টাকা ও শুকনা খাবার পাঠানো হয়েছে বলে জানান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে তৃতীয় দফা এই বন্যায় ৪০ লাখ পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী কোস্টগার্ড ও অন্যান্য সংস্থা কাজ করছে।