এফএনএস: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সমুদ্র জয় করেছি। এটা আমাদের বিশাল অর্জন। তাই সমুদ্র পরিষ্কার রাখা আমাদের সকলেরই নৈতিক দায়িত্ব। সমুদ্র পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে আমাদের সুনীল অর্থনীতির সুনিবীড় সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতির জন্য সমুদ্রকে রক্ষা করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব (অব.) এবং বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু বঙ্গোপসাগর উৎসব-২০২২ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাজ্জাদুল হাসান প্রধান অতিথি হিসে এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি, বঙ্গোপসাগরে সুনীল অর্থনীতির সৃষ্টি- এই প্রতিপাদ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে বঙ্গোপসাগর উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে শুরু হওয়া এই উৎসব যৌথভাবে আয়োজন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও বেসরকারি সংস্থা সেফ বাংলাদেশ। উৎসবে দিনভর বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে রয়েছে সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযান, নীল অর্থনীতি নিয়ে সেমিনার, সৈকত ভলিবল ও সার্ফিং। সকালে লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। পরে করা হয় সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম। এতে সেফসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য ও পর্যটকরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের অবসরপ্রাপ্ত সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম বলেন, সমুদ্র সৈকতের যত্রতত্র ফেলা ময়লার বিরাট একটা অংশ সাগরে মিশে গিয়ে মাছ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়। একসময় এরা খাদ্য না পেয়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। ফলে সামুদ্রিক সম্পদে প্রভাব পড়ে। সমুদ্রকে সুন্দর ও স্স্থু রাখতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই। আমরা যথাসম্ভব সমুদ্রকে পরিচ্ছন্ন রাখবো। এটি আমাদের সম্পদ, এটি রক্ষা করার দায়িত্ব ও কর্তব্যও আমাদের। বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিচার্স ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনীতে আরো বক্তব্য রাখেন, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য সচিব ড. মো. কাউসার আহম্মদ, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলী কদর, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন এবং কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।