দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ সুন্দর বিশ্বের অনন্য অসাধারন সৌন্দর্য আর সম্পদের অধিকারী। এই সুন্দরবন আমাদের সম্মান আর মর্যাদার প্রতিমুখ। কিন্তু বাস্তবতা হলো প্রতিনিয়ত সুন্দরবন ধ্বংসে নিয়োজিত এক শ্রেনির দেশেদ্রোহী চক্র সুন্দরবনের বৃক্ষন নিধন, হরিন, বাঘ, হরিন আর বাঘ ছানা শিকার যেমন থেমে নেই একই সাতে সুন্দরবন অভ্যন্তরে প্রবাহমান নদী খাল ও জলাশয়ে চলছে অবৈধ পন্থায় মাছ ও কাকড়া শিকার। বনজীবীরা বৈধ ভাবে সুন্দরবনে পাস নিয়ে প্রবেশ করে এবং কে কোন বিষয়ে সেটাও উল্লেখ থাকে এবং প্রতিজনকে তল্লাশীর মাধ্যমে প্রবেশের সুযোগ থাকে। কিন্তু গুলি করে ফাস দিয়ে হরিন শিকার করে চোরাশাকারীরা বিষ দিয়ে, বিষাক্ত পাউডার দিয়ে আবার কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ও কাঁকড়া শিকারের নামে নিধন যজ্ঞ চলমান। কিন্তু দিন পূর্বে বন বিভাগের কর্মিরা মৃত হরিন ও হরিন শিকারের ফাঁস জব্দ করলেও শিকারীদের গ্রেফতার ব্যর্থ হয়, কিন্তু প্রবেশের সময়ই শিকারীরা ফাস, বন্দুক, বিশ, বিষাক্ত পাউডার, কারেন্টজাল সাথে নিয়ে অনুপ্রবেশ করে বিধায় বন বিভাগের দায়িত্বশীলরা কোন ভাবেই বন অভ্যন্তরে শিকার সামগ্রীর উপস্থিতির দায় এড়াতে পারেন না। গত সোমবার সুন্দরবন অভ্যন্তরে খালে বিষ প্রয়োগে মৎস্য শিকারের সময় দুই শিকারীকে বিষের বোতল সহ গ্রেফতার করেছে বন বিভাগের কর্মিরা। জাল, বিশ, নৌকা জব্দ এবং বিষ প্রয়োগকারী দুই শিকারীকে গ্রেফতারের ঘটনা নিশ্চয় প্রশংসার দাবিদার। বন বিভাগ জানিয়েছে দুইটি নৌকা জব্দ করলেও একটি নৌকায় অবস্থানকারী বিষ প্রয়োগে মৎস্য শিকারকারী চক্ররা গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায়। মৃত হরিন ও ফাস জব্দ হলেও আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় বনপ্রেমী যেমন খুশি হইনি অনুরুপ ভাবে বন বিবাগের দায়িত্বশীল তথা কর্মিদের প্রতি কুশি হতে পারেনি। গত সোমবার বিধ্বস্থ জাল ও নৌকা সহ দুইজনকে গ্রেফতারের মাধ্যমে বন অভ্যন্তরে বন সম্পদ ও জীব বৈচিত্র নিধনে কর্মরতদের জন্য বিশেষ সংকেত হিসেবে কাজ করতে পারে। বন সম্পদ জাতীয়য, সম্পদ, আমাদের সুন্দরবনে বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বেচে থাকবে বিধায় বন বিভাগে কর্মরতরাই কেবল পারেন বন সম্পদ ও জীব বৈচিত্র রক্ষা করতে, সুন্দরবন সংলগ্ন অধিবাসি ও বনে কাজ করা সর্বপরি বনজীবীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে কন প্রবেশে এবং বন অভ্যন্তরে নিরাপত্তা প্রহরী ও বন কর্মিদের যে ভাবে অবস্থান এবং রেঞ্জ ভিত্তিক স্টেশন এবং বনে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ বিধায় যে কেউ ইচ্ছা করলেই অবৈধ সামগ্রী নিয়ে বনে প্রবেশ করতে পারে না। এ কারনে বিশেষ ভাবে বন বিভাগকে দায়িত্বশীূল হতে হবে। সুন্দরবনের অন্যতম সাতক্ষীরা রেঞ্জ এই রেঞ্জের বিশেষ শ্লোগান সড়ক পথে সুন্দরবন, সাতক্ষীূরা রেঞ্জে অপরাধী, বন খেভকো বা জীব বৈচিত্র শিকারকারী সর্বপরি বৃক্ষ নিধনকারীদের জন্য দুস্কর এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী। সড়ক পথের সাথে সাতক্ষীরা রেঞ্জের বিশেষ যোগ সূত্র কিন্তু খুলনা, বাগেরহাট, কয়রায় সাগর বেষ্টিত থাকায় সুন্দরবন নিরাপত্তা এবং অনুপ্রবেশকারী শিকারীদের আনাগোনা ও উপস্থিতি যতটুকু সহজ সাতক্ষীরা রেঞ্জে অপরাধী, চোরাশিকারী ও জীববৈচিত্র নিধনকারীদের প্রবেশ ততোটুকু কঠিন। সুন্দরবনকে সুরক্ষিত রাখার একমাত্র কারিগর ও মধ্যম বন বিভাগ, সরকার এই বিভাগকে বন রক্ষায় ও উন্নয়নে নিয়োজিত করেছেন। বিধায় বন বিভাগের সাফল্য, ব্যর্থতা, অনিয়ম, সততা, দুর্নিতী সহ সামগ্রীক পন্থাই বনকে কোন দিকে নেবে তা বলে দেবে। এক শ্রেনির কর্মকর্তা ও বন প্রহরীদের সহযোগিতা ব্যতিত চোরাশিকারী বন অভ্যন্তরে প্রবেশ পরবতিৃ বন নিধন রকতে পারে কিনা সেটাও প্রশ্নের উল্লেখ করা স্বাভাবিক। বিষ দিয়ে মৎস্য ও কাকড়া নিধন কেবল গুটি কয়েক মাছ বা কাকড়া শিকার নয়, দৃশ্যতঃ প্রজাতি ও বংশ বিস্তরকে ধ্বংস করা। আমাদের অহংকার আর গর্বের প্রতিক সুন্দরবনকে সুন্দর রাখতে হবে আর এজন্য কঠোর আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি দুর্নিতী মুক্ত পরিবেশ সেই সাথে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।