এটাই হ’ল তাদের শিকারের প্রধান বৈশিষ্ট। নদী খাল পার হতে গেলে স্রোতের গতি বেগও এদেরকে লক্ষ্য ভ্রষ্ট করতে পারে না। বাঘ ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৪ ঘন্টা চলাফেরা করে। ৯০ থেকে ১১০ দিন গর্ভ ধারনের পর ২-৫টি বাচ্চা প্রসব করে এবং পুরুষ বাঘের চক্ষু লুকিয়ে বাচ্চা গুলি বড় করে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রায় ক্ষেত্রে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। কারণ পুরুষ বাঘগুলি যদি বাঘিনীর বাচ্চাকে না খেয়ে ফেলতো তাহলে সুন্দরবনে বাঘে ছেয়ে যেত। কিন্তু সুন্দরবনে সে পরিমান বাঘ নেই। বাঘ প্রতিদিন ১২ কেজি করে খাদ্য খায়। সুন্দরবন ছাড়াও ভারত, নেপাল, ভুটান, রাশিয়া, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া ও চীন দেশে বাঘ পাওয়া যায়। তবে সে সমস্ত বাঘ এত হিংস্র নয়। চিতা বাঘের গায়ে কালো কালো ফোটা থাকে। সুন্দরবনে এক সময় বুনো মহিষ ও গন্ডার ছিল। সেগুলি এখন অবলুপ্ত। ঈধষপঁঃঃধ জবারবি াড়ষ.৮৯ চ.২৯৯ ১৮৮৮৯. বাঘ মাছ, মাংস, কাকড়া, কাঁটা হাড় প্রভৃতি খায়। হাড় চিবানো এদের একা স্বভাব। তবে মানুষ ধরলে এরা সর্বপ্রথম মানুষের দেহের সবচেয়ে নরম অংশ নাভি আগে খায়। বাঘ সাধারণ ৪/৫ শ্রেনীর যথা (১) রয়েল বেঙ্গল টাইগার, (২) গুল বাঘ (৩) চিতা বাঘ (৪) মেছো বাঘ (৫) বাগঢোষা বা ঢোষা বাঘ। গরুর ছানাকে যেমন বাছুর বলে সাধারণত বাঘের বাচ্চাকে বাঘঢোষা বলা হয়। ঢাকী ফরেস্ট অফিসের সন্নিকটে নলিয়ানবাদে কালাচাঁদ নামে এক শিকারী ছিলেন। তিনি নাকি সুন্দরবন গন্ডার হত্যা করেছিলেন। তার পুত্র ওমর আলীও শিকারী ছিলেন। বাঘকে সুন্দরবন জঙ্গলের কর্মীরা বড় মামা বলে তার ১ম কারণ বাঘের আতঙ্কে তারা বাঘের নাম উচ্চারণ করে না। এছাড়া আর দুটি অভিমত আছে। অভিমত দুটি নিম্নরূপ। সুন্দরবনের রাজা দক্ষিণ রায়। তারা মাতা নারায়নী। বাঘ তাদের আ¹াবহ দাস।