কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি \ খুলনা রেঞ্জের সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কোবাদক ফরেস্ট ষ্টেশনের আওয়াতাধীন এলাকায় হরিণ নিধন চক্র বেপরোয়া হয়ে উছেঠে। গত ১ এক মাসে ৭৭ কেজি হরিণের মাংস সহ ৩ জন আটক করেছে বনবিভাগ ও পুলিশ। একটি চক্র দীর্ঘদিন সুন্দরবনের হরিণ নিধন অব্যহত রেখেছে । প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও থেকে হরিণের মাংস উদ্ধার হচ্ছে। তবে বন বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর আংটিহারা ক্যাম্পের পুলিশ অভিযান চালিয়ে আংটিহারা পানিউন্নয়ন বোর্ডের অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে মনোরঞ্জন রায়ের ছেলে ভৈরব রায় (৪২) কে ২ কেজি হরিনের মাংস সহ আটক করে। ২ নভেম্বর কোবাদক স্টেশন কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে গোলখালী এলাকা থেকে মোঃ জাফর আলী গাজীর ছেলে আদম আলী গাজী (৩৮) কে ৩৫ কেজি হরিনের মাংস সহ আটক করে। গত ১৬ নভেম্বর বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে সুন্দরবনের সাপখালী এলাকা থেকে ২ টি জবাইকরা ৪০ কেজি হরিণের মাংস সহ ২ টি নৌকা আটক করে। জবাইকৃত একটি হরিণের পেটে বাচ্ছা ছিল । ওই বাচ্ছা এবং হরিণের চামড়া ও মাথা মাটি চাপা দেয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানান, বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে বন বিভাগ ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এবং ফারুক নামের এক ব্যাক্তিকে দিয়ে হরিনের বাচ্ছা,মাথা ও চামড়া মাটি চাপা দেয়া হয়। স্থানীয় ফারুক হোসেন বলেন,বন বিভাগের লোকজন আমাকে ডেকে নিয়ে কাজটি করতে বলে তাই আমি করেছি। এর বাহিরে আমি কিছু জানিনা। এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের হরিন নিধন করে বিক্রি করে আসলেও রহস্যজনক ভাবে তারা ধরা ছোয়ার বাহিরে থেকে যায়। কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ ফারুকুল ইসলাম বলেন,অল্প সংখ্যাক লোক বল নিয়ে সুন্দরবনের বিশাল বড় বাউন্ডারী রক্ষা করা অনেক কষ্টসাধ্য। তার পরেও সকলের সহযোগিতা নিয়ে হরিন শিকারী চক্রকে প্রতিহত করা হবে। খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ডক্টর আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, সুন্দরবনের হরিণ নিধনের সাথে জড়িতদের ব্যাপারে কোন ছাড় নেই। ঘটনার সাথে যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।