সোহরাব হোসেন শ্যামনগর মুন্সীগঞ্জ থেকেঃ বনজদ্রব্য আহরণ সংকুচিত চাহিদা হ্রাসসহ নানা সংকটে খানিকটা অন্যগ্রহের মধ্যেই পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের একটি গোলপাতা কুপে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাওয়ালীরা। বনবিভাগের নিরাপত্তায় ও কড়কড়ি মধ্য নির্বিঘ্নে মৌসুমের প্রথম ট্রিপে গোলপাতা কাটতে পেরে খুশি বাওয়ালীরা। বনবিভাগের বিভিন্ন সুত্র ও বাওয়ালীরা জানান ক্রমশ গোলপাতা র চাহিদা হ্রাস ও সুন্দরবন থেকে বনজদ্রব্য আহরণ সংকুচিত হওয়ায় সুন্দরবন গোলপাতা সংগ্রহে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন বাওয়ালীরা। আহরণের ভরা মৌসুমের এবার বি এলসি দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর ছিলো বনবিভাগ।ফলে খানিকটা দেরিতে সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কুপ থেকে পারমিট গ্রহন করেন ব্যাবসায়ীরা। পারমিট গ্রহন করে গোলপাতা আহরণ সুন্দরবন অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছেন বাওয়ালী ও শ্রমজীবী রা। যদিও বনের উপর চাপ কমাতে বনজদ্রব আহরণ সংকুচিত করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে বনবিভাগ। সাতক্ষীরা রেঞ্জের কুপ কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের একটি গোলপাতা কূপে প্রথম দফায ৬০ /৭০ হাজার মন গোলপাতা কাটার পারমিট দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল তার মধ্যেই প্রথম দফায় গোলপাতা সংগ্রহ ২১টি বিল এলসি ৮/৯ হাজার অনুকূলে বাওয়ালীরা গোলপাতা সংগ্রহ অনুমতি নিয়েছেন। গত ৩০ যে জানুয়ারী থেকে এসকল বিএলসি অনুকুলে পারমিট দেওয়ার কার্যকর্ম শুরু হয়। চলবে আগামি ৩০ শে মার্চ পযন্ত। কুপ কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন বাওয়ালীরা যাতে নির্বিঘ্নে গোলপাতা কাটতে পারে তার জন্য নিয়মিত কূপের পক্ষ থেকে তদারকি করা হচ্ছে। তবে নানা সংকটে ব্যাবসায়ী দের মধ্যে আগ্রহ না থাকায় চলতি মৌসুমের গোলপাতা আহরণ লক্ষমাত্রা পূরন না হওয়ার আশংকা করেন তিনি। সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা এম এ হাসান বলেন বাওয়ালীরা যাতে নির্বিঘ্নে গোলপাতা কাটতে পারেন তার জন্য বনবিভাগের পক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছ্।