এম. আসাদ শ্যামনগর থেকেঃ কথায় আছে রাখে আলাহ মারে কে। হায়াৎ থাকতে কেহ এক সেকেন্ড আগে মরবে না। কথা গুলো চিরন্তন সত্য বাণী। স্রষ্টার প্রতি সৃষ্টের বিশ্বাসের এক অমোঘ ভিত্তি। কথাগুলো বলছিলাম বাঘের আক্রমণ বা মুখ থেকে ফিরে আসা এক বনজীবির কথা।নাম তার হায়াৎ ঢালী(৫০)। যে রমজাননগর ইউনিয়নের মৃত আহসান ঢালীর ছেলে। দীর্ঘদিন সুন্দর বনে মৌয়াল ও মৎস্য আরোহনের পেশার সাথে জড়িত। জীবন জীবিকার জন্য গত ২৯ জানুয়ারী কৈখালী ফরেস্ট স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে সুন্দরবন যায়।তার সঙ্গী ছিল মরাগাঙ গ্রামের কেরামত সানার পুত্র বাবলু ও একই গ্রামের মৃত আরশাদ গাজীর ছেলে নুরইসলাম। গত কাল রাতে বনবিভাগের পশ্চিম জোনের দারগাঙের বড়খাল নামক স্থানে মাছ ধরার সময় হায়াত ঢালী বাঘের আক্রমনের শিকার হন বলে জানান সহযোগী বাবলু সানা। অপর সহযোগী নূর ইসলাম বলেন, সুন্দরবনে নদীর পাড়ে মাছ ধরার সময় বাঘটি আবু হায়াতের উপর ঝাপিয়ে পড়ে, তখন হায়াতের একটা চিৎকারে আমরা বুঝতে পারি এবং আমারও চিৎকার দিতে থাকি এবং হাতে থাকা বৈঠা নিয়ে বাঘের ওপর ঝাপিয়ে পড়ি তখন বাঘটি হায়াত কে ছেড়ে চলে যায়।পরবর্তিতে তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক রীতারানী পালের সাথে কথা হলে তিনি বলেন বাঘের আক্রমণে আহত ব্যাক্তি চিকিৎসাধীন আছেন। বাঘ নখ দিয়ে ঘাড় ও মুখে আঁচড় দিয়েছে কামড়াতে পারেনি। তার শারীরিক অবস্থা ভাল আছে। তবে তার চোখে মুখে আতংকের ছাপ স্পষ্ট। এমন ঘটনা বিরল বাঘের আক্রমণ থেকে ফিরে আসা।এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে।তবে এলাকায় শোরগোল পড়েছে হায়াত ঢালীর হায়ৎ আছে তাই আজ পরিবারের কাছে ফিরে এসেছে।