এফএনএস: এলিট ফোর্স র্যাবের অভিযানে বনদস্যু বাহিনীগুলো আত্মসমর্পণের পর ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। এরপর গত চার বছর ধরে শান্ত ছিল সুন্দরবনের পরিবেশ। কিন্তু স¤প্রতি বনদস্যুরা মুক্তিপণের দাবিতে সুন্দরবনে একের পর এক জেলেদের অপহরণ করছে। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে র্যাব। গত শনিবার দুপুরে শুরু হওয়া এই অভিযানে র্যাবের যে বিশেষ দলটি নেমেছে তাকে ‘এলিট টাইগার্স’ বলা হচ্ছে। গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে বনদস্যু দল সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বেড়ীর খাল ও হরমাল খাল এলাকা থেকে ১৫ জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে। অপহরণের ছয় দিন পর মুক্তিপণ দিয়ে দস্যুদের কবল থেকে ছাড়া পান জেলেরা। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হয়। তবে এতে গোটা সুন্দরবনে জেলে ও বনজীবীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় সুন্দরবনকে আবারও দস্যুমুক্ত করতে র্যাব-৬ শুরু বিশেষ অভিযান করেছে। গত শনিবার দুপুর থেকে সুন্দরবনে অপারেশন ‘এলিট টাইগার্সের’ একধিক দল অভিযান শুরু করেছে। র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মো. বদরুদ্দোজা জানান, এক কথায় ‘এলিট টাইগার্স’ অভিযানের মাধ্যমে সা¤প্রতিক নব্য বনদস্যুদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে। এজন্য দস্যুমুক্ত সুন্দরবনের স্থায়িত্ব রক্ষার জন্য কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও বনবিভাগের সাথে সমন্বয় মাঠ পর্যায়ে সুন্দরবনে অভিযান পরিচালনার স্থান রেকি করা, আত্মসমর্পণ করা বনদস্যুদের সাথে সমন্বয় করা, সুন্দরবনের র্যাবের উপস্থিতি ও কার্যক্রম সম্পর্কে জানান দেওয়া, জরুরি প্রয়োজনে বনদস্যুদের বিরম্নদ্ধে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা, মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ ও নিরাপত্তার আশ্বস্থতা প্রদান এবং দরিদ্র মৎস্যজীবীদের শীতবস্ত্র বিতরণসহ মানবিক সহায়তা প্রদান করা হবে। র্যাবের একধিক দল সুন্দরবনের শরণখোলা, জয়মনি, বড়ইতলা, আন্ধারমনিক, মৃগামারি এলাকাসহ বনের শ্যালা নদীর বিভিন্ন শাখায় অভিযান চালাবে। এ ছাড়া অভিযানের জন্য র্যাবের আরেকটি দলকে একটি স্পিডবোট ও বেঙ্গল টাইগার্স নামে অপর একটি ট্রলারসহ পূর্ণ প্রস্তুতি সহকারে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। তিন দিনের এই বিশেষ অভিযান প্রয়োজনে বর্ধিত করা হবে বলে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান।