আবু জাফর (শ্যামনগর) কৈখালী প্রতিনিধি:- সাতক্ষীরা শ্যামনগরের কৈখালীতে শুষ্ক মৌসুম শুরু হতে না হতে বিভিন্ন গ্রামে খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে গ্রামের বাসিন্দাদের দূরে অন্য গ্রামে যেতে হচ্ছে। অনাবৃষ্টির কারণে বছরের শুরু থেকেই এই সংকট দেখা দিয়েছে। ঐলাকার বাসিন্দা ওছিউল আলম জানান, জয়াখালী গ্রামে সরকারিভাবে খাবার পানির জন্য একটি পুকুর খনন করা আছে। কিন্তূ বহুদিন বৃষ্টি না হওয়াতে পুকুরের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া পুকুর থেকে পানি সংগ্রহের জন্য পাড়ে স্থাপিত পিএসএফের (পন্ড স্যান্ড ফিল্টার) নষ্ট হওয়ার পথে, পুকুর মালিক অমল প্রামাণ্য বলেন, পুকুর থেকে বিভিন্ন জায়গার মানুষ পানি নিয়ে যাচ্ছে। এতে পুকুর শুকিয়ে যেতে পারে। একই এলাকার বাসিন্দা আক্তার হোসেন বলেন, এক কলস পানির জন্য মানুষ তিন-চার ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছে। তারা তিন-চার কিলোমিটার দূর থেকে এসে জয়াখালী মোড়সংলগ্ন আকিজ কোম্পানির তৈরি পানির ফিল্টার থেকে পানি নিচ্ছেন। এ অবস্থা শুধু জয়াখালি নয়, কৈখালী ইউনিয়ন এর সাপ খালি গোলাম গাজীর দিঘীর পানি অত্র এলাকার বহু মানুষ পান করে থাকে,কিন্তু এখানের ফিল্টারটি নষ্ট হাওয়াই অত্র এলাকার মানুষ কাদা মিশ্রিত পানি পান করতে হচ্ছে, ইহাতে এলাকায় বিশুদ্ধ পানির প্রকট সংকট দেখা দিয়েছে, ইহা ছাড়া পূর্ব কৈখালী মজিদ মাস্টারের দোকান এর পাশে ওয়াপদার কোলঘেঁষে ছোট একটি পুকুরের সাথে ফিল্টার এর ব্যবস্থা করা আছে কিন্তু পুকুর ছোট হওয়ায় দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পুকুরের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে ইহা ছাড়া কৈখালী ইউনিয়নের পরানপুর ,নৈকাঠি, যাদবপুর সহ বিভিন্ন গ্রামে প্রকট পানির সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা লির্ডাসের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার বিশ্বাস বলেন, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে সুপেয় পানিসংকট নিরসনে কাজ করা হচ্ছে। স্থানীয় কলেজ শিক্ষক দেবদাস সরকার বলেন, সুপার সাইক্লোন আম্ফানে উপকূলের বেড়িবাঁধ ভেঙে সর্বত্র নোনা পানি ঢুকে পড়ে। বাড়িঘর, ফসলি জমি, মাছের ঘের ভেসে যায়। এ মুহূর্তে সরকারের পক্ষ থেকে পানির ব্যবস্থা না করলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।