বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষেধাজ্ঞায় থাকা রোটা বন্দর দিয়েই ইসরাইলে অস্ত্র পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধে সেনা পাঠাবে পশ্চিমা দেশগুলো? আদানির বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ, পর্যালোচনার দাবি বাংলাদেশের রেস্তোরাঁয় বসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধূমপান, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ছড়ালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাশিয়ার কুস্কের্ উত্তর কোরিয়ার ১০০ সেনা নিহত, দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা ভারতীয় নৌ বাহিনীর স্পিডবোটের সঙ্গে ফেরির সংঘর্ষ, নিহত ১৩ লংকান টি—টোয়েন্টি দলে জায়গা পেলেননা ওয়েলালাগে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের টেস্ট দল ঘোষণা ভারতের কাছে পাত্তা পেলোনা বাংলাদেশ

সুস্থ্য সবল জাতি গঠনে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নাই…এমপি রশীদুজ্জামান

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ খুলনা ৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান বলেছেন, মৎস্য সম্পদ জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের নানামূখী পদক্ষেপের ফলে দেশে মাছ, মাংসের উৎপাদন বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, মেধা সম্পন্ন সুস্থ্য সবল জাতি গঠনে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নাই। মাছ আমাদের দৈনন্দিন আমিষের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বেকারত্ব দূরিকরণ ও আর্থ-কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে, এমপি রশীদুজ্জামান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেই উপকূলীয় জনপদ পাইকগাছাতে ওয়াপদার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার মাধ্যমে সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার শুভ সূচনা করেন। উপকূলীয় এ জনপদের মানুষ ৮০’র দশক পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আশির্বাদের বেড়িবাঁধের সুফল পেয়েছে। ৮০’র দশক পরবর্তী সময়ে অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষের কারণে বেড়িবাঁধের সুফল থেকে সাধারণ মানুষ ও প্রান্তিক কৃষকরা বঞ্চিত হয়েছে। নদ-নদী ও খাল ভরাট হয়ে গেছে। মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নদীর স্বাভাবিক নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। বিলুপ্ত প্রায় ও সম্ভাবনাময় মাছের কৃত্রিম প্রজনন এবং পরিবেশ বান্ধব চাষাবাদের উন্নত কলাকৌশল উদ্ভাদন করতে হবে। সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে। বেহেন্দী জাল ও বিষ দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে। তিনি শনিবার সকালে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট লোনাপানি কেন্দ্রের বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি পর্যালোচনা (২০২৩-২৪) ও গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রণয়ন (২০২৪-২৫) শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ লতিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় ভার্চুয়ালী সম্মানিত অতিথি ছিলেন, বিএফআরআই এর মহাপরিচালক ড. জুলফিকার আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের এফআরটি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. গোলাম সরোয়ার, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, মৎস্য অধিদপ্তর খুলনার সিনিয়র সহকারী পরিচালক বিশ^জিৎ বৈরাগী, খুলনা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. আছাদুজ্জামান, লোনাপানি কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ কামরুল হক। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা একেএম শফিকুল আলম রুবেল, মতিউর রহমান, হাশমী সাকিব, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, আবু নাছের, মশিউর রহমান, সায়মা সুলতানা সোনিয়া, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম রেজায়েত আলী, প্যানেল মেয়র শেখ মাহাবুবর রহমান রনজু, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি তৃপ্তি রঞ্জন সেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম আলাউদ্দীন সোহাগ, মৎস্য চাষী আলহাজ¦ কাজী আজিজুল করিম ও প্রভাষক আবু সাবাহ। কর্মশালায় কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা চলমান এবং প্রস্তাবিত ১১টি প্রকল্প প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com