বাংলাদেশ ফলমুলের দেশ। এদেশের আবহাওয়া জলবায়ূ, ভূ-প্রকৃতি সবই ফলমুল, উৎপাদনের সহযোগী। সবুজের শ্যামলের বাংলাদেশ কৃষি প্রধান ও বটে। আমাদের দেশে নানান ধরনের গাছ গাছালি এবং নানান প্রকৃতির ফলমুল উৎপাদন হয়। বর্তমান চলছে মধুমাস খ্যাত জ্যৈষ্ঠ মাস। প্রচন্ড তাপদাহের কবলে বিপর্যস্থ এই মাসে আম পাকে। অনেকে বলে থাকে আম পাকতেই এমন গরম, যাইহোক এই গ্রীষ্মের তাপদাহে বাজারে দেখা মিলছে তালের শাঁস। তৃষ্ণা আর প্রচন্ড গরম হতে পরিত্রান পেতে তালের শাঁসের বিকল্প নেই। দৃশ্যতঃ তাল শাস ঔষধী সমৃদ্ধ ফল হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। বহু বিধ পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ তাল শাঁষ রসনা তৃপ্তের অন্যতমমাধ্যমও বটে। আমাদের দেশে গ্রাম এলাকাতে তালগাছের ব্যঅপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এই মৌসুমে গ্রামে গ্রামে তালগাছে গাছিদের উপস্থিতি চোখে পড়ছে। গাছ মালিক থেকে তাল ক্রয় করে উক্তগাছে ওঠা এবং গাছের তাল কেটে তা নিচে নামিয়ে ভ্যঅন, পিকআপ ভর্তি করে বাজারজাত করন করা বর্তমানে ব্যাপক ভাবে চোখে পড়ছে। সাতক্ষীলা হাট বাজার গুলোতে তালে শাঁষ বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা কান্দি সহ আবার তাল কেটে শাঁস বের করেও বিক্রি করছে সবমিলে অর্থনীতি ব্যপক ভূমিকা রাখছে। সাতক্ষীরার বিপুল সংখ্যক মানূষ তাল শাস ব্যবসায় নিয়োজিত রেখেছে এবং এই ব্যবসার উপর তাদের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে। সাতক্ষীরায় এবার বিপুল পরিমান তাল উৎপাদন হয়েছে। তালের বহুমুখি ব্যবহার চলছে কেবল মাত্র তাল শাঁস বিক্রি হয়তা নয় গুটি তাল হতে রস উৎপাদন, মধ্য সময়ে তালশাস এবং পররবর্তিতে তাল পাকানো হয়। তালের বিভিন্ন মুখি খাদ্য আমাদের রসনাহত করার পাশাপাশি মুখ রোচক খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। তালের অর্থনৈতিক গুরত্ব অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা বর্তমান সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে যে কারনে তাল নির্ভর অর্থনীতিতে বহু সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। সাতক্ষীরার তাল রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।