দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী এবার রোজাদার ফিলিস্তিনিদেরকে রোজা না রাখতে পারার সব ধরনের ব্যবস্থা সম্পন্ন করতে চলেছে। একদিকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলা ও স্থল অভিযানের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের হত্যায় মেতেছে অন্যদিকে ইসরাইলি বাহিনী রোজাদার ফিলিস্তিনিরা যেন কোন ভাবেই সিহরি ও ইফতারি করতে না পারে অর্থাৎ কোন ধরনের খাদ্য না পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করছে। এমন কোন দিন নেই, এমন কোন সময় নেই যেদিনে বা সময়ে ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা ও গুলি বর্ষনের মাধ্যমে নিরস্ত্র ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করছে না ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগ্রামের প্রতিক হামাস এর পক্ষ হতে জাতিসংঘকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে গাজায় যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব পাশ করার জন্য। হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের পক্ষ হতে মুখ পাত্র আবু ওবায়দা বলেছে অবশ্যই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাশের মধ্য দিয়ে বিশ্বের শতশত কোটি মানবতার পক্ষে অবস্থান কোনঅবস্থাতেই গাজায় হামলা পরিচালনা হতে নিজেদেরকে গুটিয়ে নিচ্ছে না। পবিত্র রমজান মাসের রোজার দিনগুলোতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে মানবতা আর মানববাধিকারের সামান্যতম অবশিষ্ট অংশ গাজায় বিরাজ করছে না। পুরো গাজা উপত্যকা বর্তমান সময়ে মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে। এমন কোন সময় নেই যে সময়ে গাজার বিভিন্ন এলাকাগুলোতে দখলদার বাহিনীর সাথে হামাস যোদ্ধাদের হামলা ও প্রতিরোধ হামলার ঘটনা ঘটছে না। গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলো চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রদানের ক্ষেত্রে ক্ষমতাহীন হয়ে পড়েছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী একে একে গাজার সকল হাসপাতাল গুলো ধ্বংস করেছে। পুরোগাজা উপত্যকা সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিখ্যাত হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত আল শিফা হাসপাতাল খান ইউনিসকে অনেকউচ্চতায় নিয়েছিল দখলদার ইসরাইলি বাহিনী উক্ত খান ইউনিসের আল সিফা হাসপাতালকে বিমান হামলায় ধ্বংস করা ও তাদেরকে আগামী দিনের জন্য নিষিদ্ধ করা। আল নাসের হাসপাতাল ফিলিস্তিনিদের ঐতিহ্য আর সম্মানের প্রতিক হিসেবে বিবেচিত হাসপাতাল কমপ্লেক্সএ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ব্যাপক ভিত্তিক বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে এখানেই শেষনয় ইসরাইলি বাহিনী আল নাসের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফিলিস্তিনিদেরকে গ্রেফতার করছে উক্ত হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদেরকে হাসপাতাল ত্যাগের ভিতি প্রদর্শন এর মাধ্যমে হাসপাতাল হতে বের করে দিচ্ছে। সাত বিদেশী নাগরিক যারা গাজার ফিলিস্তিনিদেরকে ইফতার সামগ্রী বিতরন করছিলেন তাদের কে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গুলি করে হত্যার পর থেকে দৃশ্যতঃ গাজায় বিদেশী ত্রান ও দাতা সংস্থাগুলো তাদের ইফতারী বিতরন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে এবং এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বলেছে কোন অবস্থাতেই গাজার ফিলিস্তিনিদেরকে মানবেতর পরিস্থিতিতে রাখা যাবে না। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী প্রধান ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন যে তাদের সেনারা বুঝতে পারেনি সাত বিদেশী ত্রান কর্মি উক্ত গাড়িতে অবস্থান করছেন। এদিকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা গতকালও ইসরাইলের ভূ-খন্ডে কয়েক দফা ক্ষেপনাস্ত্র হামলা পরিচালনা করেছে উক্ত হামলায় ইসরাইলের শহরগুলোতে সাইরেন বেজে ওঠে। হুতি যোদ্ধারা সাগরে তাদের অবস্থান অব্যাহত রেখেছে প্রতিদিনই তারা ইসরাইল ও ইসরাইল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা চালাচ্ছে।