স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি বিনিয়োগ বিতরন করা হয়েছে। গত বেলা ১১টায় তুফান কনভেনশন সেন্টার লেকভিউতে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি সাতক্ষীরা আয়োজেন সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক খুলনা বিভাগের প্রধান মো: মোছলেউদ্দীন। প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনার নির্বাহী পরিচালক এসএম হাসান রেজা। তিনি বলেন, সকল তফশীল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী চলে। বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি খাতে পর্যাপ্ত ঋন প্রদান করে থাকে। আমরা ব্যাংকিং সেবা গ্রামগঞ্জে পৌছে দিতে চাই। সমৃদ্ধশালী অর্থনীতি গড়তে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। বর্তমানে সাতক্ষীরার আম ইউরোপ সহ বিভিন্ন উন্নতদেশে রপ্তানী হচ্ছে। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক স্বল্প সময়ে কৃষি ঋণ প্রদান করে। আপনারা কৃষি ঋণ নিয়ে যথা সময়ে পরিশোধ করবেন। কোন রকম ঋণ খেলাপী করবেন না। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক প্রশংসার দাবিদার। তিনি আরও বলেন, এই ব্যাংক নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এই ব্যাংক ৪টি ভাগে ঋণ প্রদান করে থাকে। সেই ঋণ সঠিক খাতে ব্যয় করে আপনাদেরকে স্বাবলম্বী হতে হবে। এই ধরনের আয়োজন করায় আমি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ডিএমডি মো: হাবিবুর রহমান, এসএমই ও কৃষি বিভাগের প্রধান শ্যাম সুন্দর রায়, ব্যান্ডডিং বিভাগের প্রধান মো:মনিরুজ্জামান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাতক্ষীরা শাখার ব্যবস্থাপক আজিজুল হক,তালা ব্যবস্থাপক বদরুল হুদা, বিনিয়োগ কর্মকর্তা কামাল আহমেদ,সুদীপ্ত দেবনাথ, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব ডা: আবুল কালাম বাবলা, আমচাষী সদর উপজেলা সভাপতি এসএম লিয়াকাত হোসেন, ইয়াসমিন জাহান, শংকর কুমার বিশ্বাস, গোলাম রব্বানী, মো: আলতাফ হোসেন প্রমুখ। এছাড়া সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার উচ্চ পর্যায়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও আম চাষীরা উপস্থিত ছিলেন।সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের শ্যামনগর শাখার ব্যবস্থাপক মো: রাশিদুল ইসলাম। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের তালা উপশাখার ইনচার্জ মো: আবুল কালাম গাজী। উল্লেখ্য ১৪১ জন আম চাষীদের মাঝে ১ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা বিতরন করা হয়।