রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কলারোয়ার তুলসীডাঙ্গায় বিএনপির মতবিনিময় সভা শ্যামনগরে ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির নির্বাচনে সভাপতি আসাদুল্লাহ, সম্পাদক হাফিজুর ব্রহ্মরাজপুরে সেলুন মালিক কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন সভাপতি শম্ভু সম্পাদক মানিক সাতক্ষীরা জেলা চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সভা সাতক্ষীরা স্কাউটস্ ত্রৈ—বার্ষিক কাউন্সিল কমিশনার শাহজাহান সম্পাদক মনোরঞ্জন পুরাতন সাতক্ষীরা সরলাপাড়া যুব সংঘের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল পীরমাতা ব্লাড ব্যাংক নলতা শরীফ’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও মিলন মেলা অনুষ্ঠিত আশাশুনির খাজরা ও বড়দল সীমান্তে কালকী স্লুইস গেট পরিদর্শনে রবিউল বাশার শ্যামনগরে মটর সাইকেল দূর্ঘটনায় চালক নিহত ও আহত ১ কালিগঞ্জে সু—নাগরিকের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

স্টার্ক-কামিন্সের তোপ সামলে ডাকেট-স্টোকসের দৃঢ়তা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩

এফএনএস স্পোর্টস: শর্ট বলের পথ বেছে নিয়ে প্রতিপক্ষকে অল্পতেই গুটিয়ে দিল ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসের বড় লিডের সুবাদে অবশ্য তাদের রেকর্ড গড়ার লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে সক্ষম হলো অস্ট্রেলিয়া। পরে বোলিংয়েও তাদের শুরুটা হলো দুর্দান্ত। মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের তোপ সামলে স্বাগতিকদের লড়াইয়ে রাখলেন বেন ডাকেট ও বেন স্টোকস। অ্যাশেজ সিরিজের লর্ডস টেস্টের চতুর্থ দিন ২৭৯ রানে থমকে গেছে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস। ৩৭১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৪ উইকেটে ১১৪ রান করে দিন শেষ করেছে ইংল্যান্ড। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের হাতছানি শেষ দিনে। পঞ্চম দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের চাই ২৫৭ রান, অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৬ উইকেট। স্টার্ক ও কামিন্সের ছোবলে পঞ্চাশের আগে ৪ উইকেট হারানো দলকে টানছেন ডাকেট ও স্টোকস। ওপেনার ডাকেট ঠিক ৫০ রানে খেলছেন, স্টোকস অপরাজিত ২৯ রানে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এত রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই ইংল্যান্ডের। ২০১৯ সালের অ্যাশেজে হেডিংলিতে স্টোকসের অতিমানবীয় অপরাজিত ইনিংস ও জ্যাক লিচের সঙ্গে শেষ উইকেটে অসাধারণ জুটিতে ৩৫৯ রানের লক্ষ্যে জয় তাদের সর্বোচ্চ। এবারও স্টোকসের দিকেই তাকিয়ে থাকবে দল। ২ উইকেটে ১৩০ রান নিয়ে শনিবার খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ঘণ্টার চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে দেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ ও উসমান খাওয়াজা। খাওয়াজাকে ফেরানোর সুযোগ অবশ্য একবার হাতছাড়া করে ইংল্যান্ড। অলিভার রবিনসনের বলে মাথার ওপরের কঠিন ক্যাচ ধরতে পারেননি কিপার জনি বেয়ারস্টো। ৭২ রানে বেঁচে গিয়ে যদিও বেশিদূর যেতে পারেননি খাওয়াজা। ব্রডের বলে ১২ চারে ৭৭ রানে ফাইন লেগে ধরা পড়েন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। পরের ওভারেই ট্রাভিস হেডকে গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ দিতে পারত ইংল্যান্ড। কিন্তু জশ টংয়ের বলে গালিতে বুক উচ্চতার সহজ ক্যাচ ছাড়েন জেমস অ্যান্ডারসন। টংয়ের সেই হতাশা ‘কেটে যায়’ পরের বলেই। এই পেসারের শর্ট বল উড়িয়ে মেরে স্কয়ার লেগ সীমানায় ধরা পড়েন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান স্টিভেন স্মিথ (৫ চারে ৩৪)। উইকেটে জমে যাওয়া দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়া অস্ট্রেলিয়াকে টানতে পারেননি জীবন পাওয়া হেড। ব্রডের শরীর তাক করা বাউন্সার ডিফেন্স করে শর্ট লেগে জো রুটের দারুণ ক্যাচে ফেরেন আগ্রাসী এই ব্যাটসম্যান। থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি ক্যামেরন গ্রিন ও অ্যালেক্স কেয়ারি। দুইজনই রবিনসনের শিকার। এরপর আর বেশিদূর এগোয়নি অস্ট্রেলিয়ার লড়াই। ৪০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে তিনশর আগেই গুটিয়ে যায় তাদের দ্বিতীয় ইনিংস। দলের পুঁজি বাড়ানোর পথে অবদান রাখতে ব্যাটিং করার সাহসী সিদ্ধান্ত নেন ন্যাথান লায়ন। চোট নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাটিং করে ৪ রান করেন অভিজ্ঞ এই স্পিনার। ইংল্যান্ডের হয়ে চমৎকার বোলিংয়ে ৪ উইকেট নেন ব্রড। দুটি করে শিকার ধরেন টং ও রবিনসন। লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো হয় ইংল্যান্ডের। দলীয় রান ৪৫ হতেই ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে তারা। তৃতীয় ওভারে স্টার্কের বলে কট বিহাইন্ড হন জ্যাক ক্রলি। অস্ট্রেলিয়ান পেসার নিজের পরের ওভারে অসাধারণ এক ইনসুইং ডেলিভারিতে ভেঙে দেন অলি পোপের স্টাম্প। কোনো ব্যাটসম্যানই যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। ইংল্যান্ডকে বড় ধাক্কাটা দেন কামিন্স। ওভারে জোড়া শিকার ধরেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলে প্রথম ¯িøপে ধরা পড়েন তারকা ব্যাটসম্যান জো রুট (২ চারে ১৮)। তিন বল পর চোখধাঁধানো ডেলিভারিতে স্টাম্প হারান হ্যারি ব্রæক। বিপর্যয়ে পড়া দলকে কক্ষপথে ফেরার দায়িত্ব নেন ডাকেট ও স্টোকস। দুজনের ব্যাটেই আসতে থাকে রান। তাদের জুটি পঞ্চাশ স্পর্শ করে ৬৯ বলে। এরপরই তাদের প্রতিরোধ প্রায় ভেঙেই ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ারের এক সিদ্ধান্তে বেঁচে যান ৫০ রানে থাকা ডাকেট। গ্রিনের শর্ট বল জায়গা বানিয়ে খেলেন ডাকেট। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে। অনেকটা দৌড়ে বল মুঠোয় জমান স্টার্ক। উল্লাসে মাতে পুরো দল। কিন্তু এরপরই আসে টিভি আম্পায়ার মারাইস এরাসমাসের ‘নট আউট’ সিদ্ধান্ত। রিপ্লেতে দেখা যায়, মুঠোয় জমানোর পর ফলোথ্রুতে বল মাটিতে স্পর্শ করেছে। পরে ৬৯ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন থেকে মাঠ ছাড়ে ডাকেট ও স্টোকস। সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৪১৬। ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩২৫। অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ১০১.৫ ওভারে ২৭৯ (আগের দিন ১৩০/২) (খাওয়াজা ৭৭, স্মিথ ৩৪, হেড ৭, গ্রিন ১৮, কেয়ারি ২১, স্টার্ক ১৫*, কামিন্স ১১, হেইজেলউড ১, লায়ন ৪; অ্যান্ডারসন ১৯-৪-৬৪-১, ব্রড ২৪.৫-৮-৬৫-৪, টং ২০-৪-৫৩-২, রবিনসন ২৬-১১-৪৮-২, স্টোকস ১২-১-২৬-১)। ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৭১) ৩১ ওভারে ১১৪/৪ (ক্রলি ৩, ডাকেট ৫০*, পোপ ৩, রুট ১৮, ব্রæক ৪, স্টোকস ২৯*; স্টার্ক ১০-০-৪০-২, কামিন্স ৮-১-২০-২, হেইজেলউড ৫-০-২০-০, হেড ৪-০-২৩-০, গ্রিন ৪-২-১০-০)।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com